ঢাকা উত্তরে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে আগাম প্রস্তুতি

প্রথম আলো ফাইল ছবি
প্রথম আলো ফাইল ছবি

এডিস ও কিউলেক্স মশা নিয়ন্ত্রণে জনসাধারণকে সচেতন করে ডেঙ্গু প্রতিরোধে আগাম ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন। এ লক্ষ্যে ডিএনসিসির অঞ্চল–১ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার (সিডিসি) সহযোগিতায় অনুষ্ঠিত একটি সচেতনতামূলক পরামর্শ সভা করে তারা।

গতকাল মঙ্গলবার সকালে উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যের বরাত দিয়ে বলা হয়, দেশে গত বছরের জুন থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ডেঙ্গুরোগী শনাক্ত করার রেকর্ড থাকলেও আগস্টে ছিল সর্বোচ্চ। এ বছরও একই সময়ে ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এ কারণে এ বছর আগে থেকেই এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম জানানো হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয় চিকিৎসকদের প্রশিক্ষণ ও এডিস মশার ওপর গবেষণা।

সভায় বলা হয়, ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে জনসচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য গত বছরের মতো এবারও অবহিতকরণ সভা, সচেতনতামূলক পদযাত্রা ও পথসভা, বাউলগান, পত্রিকায় গণবিজ্ঞপ্তি, সচেতনতামূলক বার্তা, টেলিভিশনে টিভিসি প্রচার কার্যক্রম করা হবে। মশক নিধন কার্যক্রমে ডিএনসিসির ২০০টি ফগার মেশিন, ২৩৮ পালস ফগমেশিন, ১৫০ হার্টসন হস্তচালিত মেশিন, ৩৪০ প্লাস্টিক হস্তচালিত মেশিন, ২ ভেহিকল মাউন্টিং ফগার মেশিন, ১০ মোটরসাইকেল ফগার ও হস্তচালিত মেশিন ও ২০টি মিস্ট ব্লোয়ার বা পাওয়ার স্প্রে মেশিন কেনা হয়েছে। যেগুলো মশক নিধনে ব্যবহৃত হচ্ছে। এ ছাড়া বিভিন্ন সংস্থা ও ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রায় এক হাজার বিঘা জলাশয়-ডোবা-পুকুরের জলজ আগাছা ও কচুরিপানা পরিষ্কার করেছে ডিএনসিসি। এ কাজ এখনো চলছে বলে জানায় সংস্থাটি।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমান বলেন, গত বছরের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এ বছর এডিস মশার প্রজননস্থল, ঘনত্ব ও আক্রান্ত ব্যক্তিদের বয়সের তথ্য–উপাত্ত দেখা হচ্ছে। এসব তথ্য-উপাত্ত কাজে লাগিয়ে বছরের শুরু থেকেই পুরোদমে কাজে নেমেছে সিটি করপোরেশন। সভায় কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।