ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কেন্দ্র সচিবসহ ৭ জনকে অব্যাহতি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার একটি কেন্দ্রে ভুল প্রশ্নপত্র সরবরাহের অভিযোগে কেন্দ্র সচিবসহ সাত শিক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে তাদের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহের নিগার।

এই সাতজন হলেন নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব ও একই স্কুলের শিক্ষক আবদুল আহাদ, হল সুপারের দায়িত্বে থাকা উপজেলার চাঁদপুর আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গোলাম জিলানি ও আরে কল সুপার খাটিঙ্গা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবদুল হান্নান পাঠান, দুটি কক্ষে পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা চাঁদপুর বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সোহেল মিয়া ও মনির হোসেন এবং আজকে আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সজীব সরকার ও জিয়াউর রহমান।

বিজয়নগরের ইউএনও মেহের নিগার গতকাল মঙ্গলবার রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ঘটনাটি উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের সচিব গোপন করে রেখেছিলেন। দুপুরে বিভিন্ন মাধ্যমে বিষয়টি আমরা জানতে পারি। বিকেলে ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিবসহ চারজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ঘটনা তদন্তের জন্য উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণ মিলন হালদারকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন উপজেলা পল্লি উন্নয়ন কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শাহনেওয়াজ পারভীন।’

উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, বিজয়নগর উপজেলার নিদারাবাদ ইউনিয়ন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে গত সোমবার বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ওই কেন্দ্রের দুটি কক্ষে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের ২০২০ সালের বদলে ২০১৮ সালের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয় এবং তারা ওই প্রশ্নপত্রেই পুরো পরীক্ষা দেয়। ওই কেন্দ্রে ২০১৮ সালের অনিয়মিত পরীক্ষার্থীও ছিল। বিষয়টি গত সোমবার দুপুরে জানতে পেরেও কেন্দ্রসচিব গোপন রেখেছিল। গতকাল দুপুরে পরীক্ষার্থীদের একজনের অভিভাবক বিষয়টি ইউএনওকে জানান। পরে তিনি খোঁজ নিয়ে কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, দুজন হল সুপার ও দুটি কক্ষের চারজন কক্ষ পরিদর্শককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেন।

তদন্ত কমিটির প্রধান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা কৃষ্ণ মিলন হালদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা ১৬ শিক্ষার্থীকে পেয়েছি যারা সরবরাহ করা বাংলা প্রথমপত্রের ভুল প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দিয়েছে।’

বিজয়নগরের ইউএনও বলেন, ‘দায়িত্বরতদের ভুলের কারণেই এমন হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। কুমিল্লা শিক্ষাবোর্ডের কাছেও শিক্ষার্থীদের রোল নম্বর পাঠানো হবে।’