সড়কে পড়ে থাকা পাখিকে উড়িয়ে দেওয়া হলো আকাশে

ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্যস্ত রাস্তায় আহত হয়ে পড়ে ছিল পরিযায়ী এই পাখি। পরে পাখিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ছবিটি গতকাল মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন থেকে তোলা। ছবি: শিমুল তরফদার
ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্যস্ত রাস্তায় আহত হয়ে পড়ে ছিল পরিযায়ী এই পাখি। পরে পাখিটি উদ্ধার করা হয়েছে। ছবিটি গতকাল মঙ্গলবার মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশন থেকে তোলা। ছবি: শিমুল তরফদার

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের ব্যস্ত রাস্তায় আহত হয়ে পড়ে ছিল একটি পরিযায়ী পাখি। ব্যস্ত রাস্তা থেকে এক গণমাধ্যমকর্মী কুড়িয়ে নিয়ে পাখিটিকে শ্রীমঙ্গলের বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে নিয়ে যান। পাখিটিকে শুশ্রূষা পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

পাখিটির নাম লাল বুক গুরগুরি।

পাখিটিকে উদ্ধারকারী আল ইব্রাহিম বলেন, ‘সংবাদ সংগ্রহ করে ভুনবীর থেকে ফিরে আসার সময় সকিনা সিএনজি পাম্পের কাছে ঢাকা-সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কে একটি পাখি পড়ে থাকতে দেখি। আরেক সহকর্মীসহ পাখিটি নিয়ে বাংলাদেশ বন্যপ্রাণী সেবা ফাউন্ডেশনে যাই। সেখানে শুশ্রূষার পর একটি পুকুরের সামনে ছেড়ে দিলে পাখিটি উড়ে যায়। বর্তমানে এটি সুস্থ আছে। মুক্ত আকাশে পাখি উড়ে যাচ্ছে, দেখেই আনন্দ লেগেছে।’

ওয়াইল্ড লাইফ ফটোগ্রাফার খোকন থৌনাজম পাখিটি সম্পর্কে বলেন, লাল বুক গুরগুরি সুন্দরবন-সংলগ্ন জেলাগুলোর বিল-ঝিল-হাওরসহ জলাশয়ে দেখতে পাওয়া যায়। এরা ২০ থেকে ২১ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। ওজন ৮০-১০০ গ্রাম। এদের শরীরের রং পোড়া ইটের মতো, লালচে বাদামি রঙের আভা মাখানো, পেছনের দিক বাদামি। এই পাখির পায়ের আঙুলগুলো অনেক বড়। একটি ছোট লেজ আছে। পাখিটি পরিযায়ী এবং বিরল।