স্কুলের নলকূপ থেকে বের হচ্ছে গ্যাস, বালু ও পানি

নলকূপের পাইপ দিয়ে দ্রুত গতিতে গ্যাস, বালু ও পানি বের হচ্ছে। ছবি: সোহরাব হোসেন
নলকূপের পাইপ দিয়ে দ্রুত গতিতে গ্যাস, বালু ও পানি বের হচ্ছে। ছবি: সোহরাব হোসেন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নে শেরে বাংলা উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে নতুন বসানো হচ্ছে এমন একটি গভীর নলকূপ দিয়ে দ্রুত গতিতে বের হচ্ছে গ্যাস। এর সঙ্গে বের হয়ে আসছে বালু ও পানি। স্কুল প্রাঙ্গণ এরই মধ্যে বালু ও পানিতে থইথই। উপজেলা প্রশাসন স্কুলটি অস্থায়ীভাবে বন্ধ করে দিয়েছে। ভবন ধসে পড়ার আশঙ্কায় আসবাবপত্র অন্য ভবনে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বায়েক ইউনিয়নের সালদা গ্যাসক্ষেত্র থেকে দুই কিলোমিটার দূরে অস্টজংগল এলাকায় এই স্কুলটি। স্কুলের মাঠে একটি গভীর নলকূপ বসানো হচ্ছে। নলকূপের পাইপ দিয়ে আজ বুধবার সকাল থেকে দ্রুত গতিতে গ্যাস বের হচ্ছে। এতে বালু ও পানির সংমিশ্রণ রয়েছে। কোনোভাবে গ্যাস বের হওয়া বন্ধ করা যাচ্ছে না।

খবর পেয়ে কসবা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা কসবা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন ও কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনাস্থলে যায়। গ্যাস, বালু আর পানিতে পুরো মাঠ ভরে গেছে। এ সময় স্কুলের একটি ভবন থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের চারদিকে লাল পতাকা উড়ানো হয়েছে। বিদ্যালয়ের কার্যক্রম অস্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা হয়েছে। বিদ্যালয়ের চারপাশে পুলিশ ও গ্রাম পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

স্কুল প্রাঙ্গণ বালু ও পানিতে থইথই।  ছবি: সোহরাব হোসেন
স্কুল প্রাঙ্গণ বালু ও পানিতে থইথই। ছবি: সোহরাব হোসেন

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আল-মামুন ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর থেকে একটি গভীর নলকূপ বসাতে গেলে এটি দিয়ে দ্রুত গতিতে গ্যাস, বালু ও পানি বের হচ্ছে। ধীরে ধীরে নলকূপের গর্তটি গভীর হচ্ছে। ভবনের নিচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। বিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।