করোনাভাইরাসের কারণে আপাতত পদ্মা সেতুর কাজে সমস্যা নেই: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

করোনাভাইরাস আগামী দুই মাসের মধ্যে স্থিতিশীল হলে পদ্মা সেতুর কাজে কোনো সমস্যা হবে না, তবে আরও তিন থেকে চার মাস স্থায়ী হলে সমস্যা হবে বলে আজ বুধবার জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

কারণ হিসেবে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে কর্মরত ৯৮০ জন চীনের নাগরিক। তাঁদের মধ্যে চীনে গিয়েছেন ৩৩২ জন। ফিরে এসেছেন ৩৩ জন। এই ৩৩ জনের মধ্যে আবার ৮ জন কোয়ারেন্টাইন (ভাইরাস সংক্রমণরোধে বিশেষভাবে রাখা) মুক্ত এবং অন্যরা কোয়ারেন্টাইনে আছেন।

পদ্মা সেতুর অগ্রগতি প্রসঙ্গে কাদের বলেন, ‘পদ্মা সেতুর কাজ ওভার অল ৭৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তার মধ্যে মেইন কাজ হয়েছে ৮৬ শতাংশ। ২৩টি স্পেন বসেছে এবং ১০ ফেব্রুয়ারি ২৪তম স্পেন বসবে।’

সচিবালয়ে সব প্রকল্প ও মন্ত্রণালয়ের অধীনে সব কাজের অগ্রগতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব তথ্য জানান সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়ে ও মেট্রোরেল: আগামী মাসে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেস ওয়েটির উদ্বোধন করবেন জানিয়ে কাদের মেট্রোরেল প্রসঙ্গে বলেন, মেট্রোরেলের কাজে ৪২ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। তার মধ্যে উত্তরা থেকে আগারগাঁও ৬৮ শতাংশ এবং আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ৩৮ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে।

মেট্রোরেলে ৫৮ জন চীনা নাগরিক রয়েছেন জানিয়ে কাদের বলেন, তাঁদের মধ্যে চীনে গেছেন ৩১ জন, ফেরত এসেছেন ১ জন। তিনি আবার কোয়ারেন্টাইনে আছেন। মেট্রোরেলে কোনো প্রভাব পড়বে না, ২০২১ সালে কাজ শেষ হবে।

বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট: কাদের জানান, এ প্রকল্পে ৭২ জন চীনা নাগরিক কাজ করেন, তাঁদের মধ্যে মাত্র ১ জন ছুটিতে রয়েছেন। ২০২১ সালে প্রকল্পটি শেষ হবে।

এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ে: প্রথম পর্বের কাজ ৫৫ শতাংশ কাজ হয়েছে। এখানে ২০জন চীনা নাগরিক কাজ করেন, যাঁদের মধ্যে ১৮ জন ছুটিতে। মোট কর্মরত ৩৮ জন।

এ ছাড়া গাজীপুর-টাঙ্গাইল চার লেনের কাজ জুনে শেষ হবে এবং কর্ণফুলী টানেলের কাজ ৫১ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।

বাসসের খবরে বলা হয়, আগামী বর্ষার আগে চলমান যে কাজগুলো আছে, তার মধ্যে সব রাস্তা ব্যবহার–উপযোগী করতে হবে জানিয়ে সেতুমন্ত্রী বলেন, যেসব ঠিকাদার সময়মতো কাজ শেষ করবেন না অথবা কাজ শুরু করতে গড়িমসি করে ধীরে করবেন, তাঁদের ফাইনাল নোটিশ দিয়ে ওয়ার্ক অর্ডার বাতিল করা হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। প্রয়োজনবোধে তাঁদের ব্ল্যাক লিস্ট করতে হবে।