তুচ্ছ ঘটনায় কৃষককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

গোপালগঞ্জে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক কৃষককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার নিলামাঠ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম ইসরাফিল মোল্লা (৪২)। তিনি গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার গোবরা নিলামাঠ গ্রামের বাসিন্দা।

এলাকাবাসী ও নিহত ব্যক্তির স্ত্রী তুলি বেগমের ভাষ্য, ইসরাফিলের ৯ বছর বয়সের মেয়ে মীম এলাকার অন্য মেয়েদের সঙ্গে জমিতে কলাইশাক তুলতে যায়। এ সময় পাশের জমিতে ওই এলাকার হাসান মোল্লার ছেলে রিসাদ মোল্লা (২৩), আসলাম মোল্লার ছেলে নাবিল মোল্লাসহ (১৮) আরও কয়েকজন ছেলে ক্রিকেট খেলছিলেন। ক্রিকেট বল মীমের গায়ে লাগলে সে প্রতিবাদ জানায়। এ নিয়ে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায় ওই এলাকার ইসমাইল মোল্লা (রিসাদের চাচা) এসে মীমকে মারধর করেন। মীম কাঁদতে কাঁদতে এসে তার বাবাকে বলে। মীমের বাবা তখন ঘটনাস্থলে গিয়ে ইসমাইলের কাছে তাঁর মেয়েকে মারার কারণ জানতে চান। ওই সময় ইসমাইল মোল্লা , নাবিল মোল্লা, রিসাদ মোল্লা ইসরাফিলকে বেধড়ক মারধর করেন। ওই সময় রিসাদের বাবা হাসান মোল্লা এসে চিৎকার করে বলেন, ‘ওকে মেরে ফেল।’ ইসরাফিলের স্ত্রী ঠেকাতে গেলে তাঁকেও মারধর করেন তাঁরা । পরে এলাকার লোকজন ইসরাফিলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী মো. জান্নাত মোল্লা (৩০) প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি চিৎকার শুনে দৌড়ে মাঠের গিয়ে দেখি ৮-৯ জন লোক ইসরাফিলকে মারধর করছেন। আমরা কয়েকজন মিলে ঠেকানোর চেষ্টা করি, কিন্তু এতেও কোনো লাভ হয়নি। পরে আমরা কয়েকজন মিলে ইসরাফিলকে গুরুতর আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।’

এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, ইসরাফিলের স্বজনেরা অভিযোগ করেছেন, তাঁকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে । এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত মামলা হয়নি।