চুরির অপবাদ দিয়ে ভাড়াটে গৃহবধূর সঙ্গে এ কেমন আচরণ

যশোরের চৌগাছা উপজেলায় স্বর্ণালংকার চুরির অপবাদ দিয়ে ভাড়াটে গৃহবধূর সঙ্গে নির্মম আচরণ করার অভিযোগ উঠেছে বাড়ির মালিকের স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ের বিরুদ্ধে। গতকাল বুধবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

ওই গৃহবধূর স্বামী অভিযোগ করেছেন, প্রায় আট মাস ধরে তিনি স্ত্রী (৩৫) ও মেয়েকে (৪) নিয়ে চৌগাছায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। গত ২৬ জানুয়ারি তিনি ভাড়া বাড়িতে স্ত্রী ও শিশুসন্তানকে রেখে গ্রামের বাড়ি যশোরের অভয়নগরে যান। বাড়ির মালিকের মেয়ে সুমাইয়া ফারজানা মোবাইল ফোনে তাঁকে বলেন, তাঁর স্ত্রী তাঁদের বাড়ি থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করে পালিয়েছেন। গত সোমবার ভাড়া বাড়িতে এসে ভাড়াটেদের সঙ্গে স্ত্রীকে খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আসেন তিনি। এ ঘটনায় চৌগাছা থানায় একটি মামলা হয় এবং পুলিশ তাঁর স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করে।

ওই গৃহবধূর স্বামী আরও বলেন, গতকাল আদালত থেকে জামিন পেয়ে তাঁর স্ত্রী ভাড়া বাড়িতে আসেন। রাত ১২টার দিকে মালিকের স্ত্রী ও দুই মেয়ে তাঁদের শোয়ার ঘরে ঢুকে কথা-কাটাকাটি করেন। একপর্যায়ে তাঁরা তাঁর স্ত্রীকে মারধর করেন। এ সময় তাঁর মেয়েটি কান্নাকাটি করলে তাঁরা তাকেও মারধর করেন। তিনি দাবি করেন, মালিকের স্ত্রী ও তাঁর দুই মেয়ে তাঁর হাতে একটি কাঁচি ধরিয়ে দিয়ে তাঁর স্ত্রীর চুল কেটে দিতে বাধ্য করেন। পরে তাঁদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বর্তমানে ওই গৃহবধূ ও তাঁর মেয়ে চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধূর স্বামী বাদী হয়ে আজ বৃহস্পতিবার চৌগাছা থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশ বাড়ির মালিক জাফর ইমামের স্ত্রী সুলতানা রাজিয়া (৪৫) এবং তাঁর দুই মেয়ে জান্নাতারা ইমাম (২৪) ও সুমাইয়া ফারজানাকে (২০) গ্রেপ্তার করেছে।

চৌগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিফাত খান বলেন, ওই নারী ও তাঁর মেয়েকে মারধর করা হয়েছে। এরপর স্বামীকে দিয়ে জোর করে গৃহবধূর মাথার চুল কাটানো হয়েছে। এ ঘটনায় করা মামলায় তিন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাঁদের আদালতে পাঠানো হয়।