করোনাভাইরাস: বেনাপোলে ৩০ হাজার যাত্রীর পরীক্ষা

বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ভবনের মেডিকেল ডেস্কের সদস্যরা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করছেন শুধু থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ দিয়ে। গতকাল দুপুরে তোলা।  প্রথম আলো
বেনাপোল আন্তর্জাতিক ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট ভবনের মেডিকেল ডেস্কের সদস্যরা করোনাভাইরাস পরীক্ষা করছেন শুধু থার্মোমিটার ও স্টেথোস্কোপ দিয়ে। গতকাল দুপুরে তোলা। প্রথম আলো

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে করোনাভাইরাস শনাক্ত কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল ছয়টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা পর্যন্ত পাসপোর্টের মাধ্যমে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের শরীরে করোনাভাইরাস পরীক্ষার কাজ করছেন ৩৬ জনের চারটি চিকিৎসা দল। 

এ ছাড়া ভারত থেকে আসা পণ্যবাহী ট্রাকের চালক ও সহকারীদেরও (হেলপার) পরীক্ষা করা হচ্ছে। যদিও বেনাপোল তল্লাশিচৌকিতে থাকা করোনাভাইরাস পরীক্ষার থার্মাল স্ক্যানার যন্ত্রের মনিটরটি দীর্ঘদিন ধরে অকেজো পড়ে রয়েছে। তবে মূল যন্ত্রটি কার্যকর আছে। অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বনের জন্য ম্যানুয়াল হ্যান্ড থার্মাল নামে আরও দুটি হস্তচালিত যন্ত্র ব্যবহার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে বেনাপোল তল্লাশিচৌকিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সতর্কতা জারি করা হয়। এদিন বিকেল থেকে চিকিৎসা দল যাত্রীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু করে। গত ১৮ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ৩০ হাজার ১৯৬ জনের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে ৬ হাজার ৪৮ জন ভারতীয় এবং অন্যান্য দেশের রয়েছেন ২০৬ জন। অবশিষ্ট ব্যক্তিদের মধ্যে সবাই বাংলাদেশি।

গতকাল শুক্রবার বেনাপোলে সরেজমিনে দেখা গেছে, বেনাপোল তল্লাশিচৌকি দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারত থেকে বাংলাদেশে আসা যাত্রীদের প্রথমে লাইনে দাঁড় করানো হয়। করোনাভাইরাসের প্রধান লক্ষণ ‘জ্বর’ কারও শরীরে আছে কি না, তা পরীক্ষার জন্য হাতে থাকা ‘ম্যানুয়াল হ্যান্ড থার্মাল’ যন্ত্রটি যাত্রীর কপালে ছোঁয়ানো হচ্ছে। এ ছাড়া স্ক্যানার যন্ত্রের ভেতর দিয়েও যাত্রীকে নেওয়া হচ্ছে। স্ক্যানারের মনিটর নষ্ট থাকায় তাপমাত্রা মাপার সময় নির্দিষ্ট ব্যক্তির ছবি দেখা যায় না।