চীনের হুবেইতে বাংলাদেশিদের খাবারের সংকট নেই, ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদূত

জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হন না। হুবেই, চীন। ছবি: রয়টার্স
জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হন না। হুবেই, চীন। ছবি: রয়টার্স

চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান বলেছেন, হুবেই প্রদেশে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের কোনো খাদ্যসংকট নেই। তাই সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের আতঙ্কিত না হয়ে শান্ত থাকতে ও ধৈর্যের সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

আজ শনিবার বেইজিং থেকে এক ভিডিও বার্তায় রাষ্ট্রদূত সে দেশে থাকা বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের প্রতি এ আহ্বান জানান।

করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাস বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য কী কী পদক্ষেপ নিয়েছে এবং সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি কী; তা জানাতে রাষ্ট্রদূত গণমাধ্যমে ভিডিও বার্তা পাঠান।

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বলেন, চীন থেকে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যেখানে দুই দেশের সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সমন্বিতভাবে কাজ করছে। বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের ফেরত পাঠানোর বিষয়ে দূতাবাসের একক কোনো ক্ষমতা নেই। এরই মধ্যে ৩১২ জন শিক্ষার্থীকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া বিষয়ে দূতাবাস প্রাথমিক কাজ শেষ করেছে। কিন্তু প্রক্রিয়াটি কবে নাগাদ শুরু হতে পারে, তা নির্ভর করছে বাস্তবতার ওপর। দূতাবাস দৃঢ়তার সঙ্গে নিশ্চিত করতে চায় যে নাগরিকদের সুরক্ষা এবং কল্যাণ নিশ্চিত করাই সরকারের প্রধান লক্ষ্য।

চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান। ছবি: সংগৃহীত
চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মাহবুব উজ জামান। ছবি: সংগৃহীত

চীনের থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭১ জন বাংলাদেশি শিক্ষার্থী খাদ্য ঘাটতির বিষয়ে যে অভিযোগ করেছেন, সে সম্পর্কে মাহবুব উজ জামান বলেন, ‘আমি ব্যক্তিগতভাবে থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্রবিষয়ক সমন্বয়কারী লি খেয়ের সঙ্গে এই বিষয়ে কথা বলেছি। সেখানকার খাদ্য সরবরাহ সন্তোষজনক বলে তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। এ ছাড়া হুবেই প্রদেশের অন্যান্য প্রধান শহরের মতো বিশ্ববিদ্যালয়টির অবস্থান ইয়াচাং শহরটিও যোগাযোগবিচ্ছিন্ন থাকায় খুব দ্রুত বাইরে থেকে খাবার পাঠানো কঠিন।’

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত থ্রি জর্জেস বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক ছাত্রবিষয়ক সমন্বয়কারীকে উদ্ধৃত করে জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্যাভ্যান্ডারে পর্যাপ্ত পরিমাণে গম, চাল, তেল, মরিচ এবং মসলা, চিনি, লবণসহ প্রয়োজনীয় উপকরণ রয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেখানে রয়েছেন, সেখানে পর্যাপ্ত পরিমাণে খাবার পানির সরবরাহ নিশ্চিত করা হয়েছে। খাদ্য সরবরাহের জন্য কিছু সুপার মার্কেট নতুন করে অনলাইনে অর্ডার নিচ্ছে এবং সরবরাহ করছে। এ ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যানটিনও অনলাইনে খোলা রয়েছে এবং তারা চাহিদা অনুযায়ী খাদ্যসামগ্রী সরবরাহ করছে।

মাহবুব উজ জামান বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিকে ‘কোনো সাধারণ পরিস্থিতি নয়’ উল্লেখ করে বিশ্ববিদ্যালয়টির কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের নিজেদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা এবং কল্যাণের জন্য আবাসিক ভবনের ভেতরে থাকতে বলা হয়েছে। কিছু শিক্ষার্থী এখনো বাস্তব পরিস্থিতি উপলব্ধি না করে আতঙ্কিত হচ্ছে, তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে শান্ত থাকা এবং ধৈর্য ধারণ করাই হচ্ছে সর্বোত্তম পথ।