জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফলতা এসেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, বাংলাদেশকে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর জন্য সব ধরনের চক্রান্ত চলছিল। সেই চক্রান্ত মোকাবিলা করেই জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমনে সফলতা এসেছে।
রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনস মাঠে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে আজ শনিবার বিকেলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ঢাকা শহর সারা দেশের প্রতিচ্ছবি। ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকলে সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে থাকে। সে জন্য ঢাকাকে ঘিরে বিশেষ মনোযোগ থাকে। ডিএমপির বিভিন্ন ইউনিটের উন্নয়ন করা হয়েছে। সব ধরনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করতে পুলিশের জন্য সবকিছু করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী। তিনি বলেন, থানাকে সকল সেবার কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যেন সব মানুষ সেবা নিতে থানায় যান। সবাই যেন নির্ভয়ে থানায় গিয়ে তার অভিযোগ জানাতে পারেন। থানাকে সেই বিশ্বাস ও আস্থার জায়গায় পরিণত করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সব প্রতিকূলতা মেনে নিয়েই সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করতে হবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতি ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রযুক্তির উৎকর্ষতার সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিএমপি কাজ করে যাচ্ছে। থানায় হওয়া প্রতিটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) ও মামলা তদারকির জন্য বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা হয়েছে। থানায় আসা সেবাগ্রহীতার কাছে সেবার মান সম্পর্কে জানতে যোগাযোগ করা হচ্ছে। তদন্তের সুষ্ঠু কার্যক্রম ও গতিশীল ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ক্রাইম ডেটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব আরোপ করা হচ্ছে। প্রতিটি থানায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক স্থাপন করা হয়েছে। ঢাকার বাসিন্দাদের তথ্য নিয়ে সিটিজেন ইনফরমেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিআইএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এতে অপরাধীদের শনাক্ত করা সহজ হচ্ছে। ঢাকার বাসিন্দাদের জীবন সংঘাতহীন ও নিশ্চিন্ত করতে ডিএমপির ৩৪ হাজার পুলিশ বদ্ধপরিকর।
শনিবার বিকেল চারটার পর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কেক কেটে ডিএমপির ৪৫ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর উদ্বোধন করেন। এরপর ডিএমপির কর্মকাণ্ড নিয়ে প্রামাণ্যচিত্র দেখানো হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, পুলিশের ঊর্ধ্বতন বর্তমান ও সাবেক কর্মকর্তা, গণমাধ্যম ও চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বরা।