ছাত্রদের চুল কেটে দেওয়ায় প্রধান শিক্ষক বরখাস্ত

নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলায় ২২ ছাত্রের মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগে জোয়াড়ি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে আজ রোববার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আনোয়ার পারভেজ ওই প্রধান শিক্ষককে বরখাস্ত করেন।

অভিভাবকেরা জানান, আগামীকাল সোমবার বিদ্যালয়টির বার্ষিক শিক্ষাসফরের দিন নির্ধারণ করেছে। এ জন্য প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলী ছাত্রদের চুল ছোট করে কাটার নির্দেশ দেন। শিক্ষাসফরের আগের দিন আজ রোববার বিদ্যালয়ে এসে তিনি দেখেন, অনেকেই চুল ছোট করেনি। আর এতে ক্ষুব্ধ হয়ে বিভিন্ন শ্রেণির ২২ ছাত্রকে ধরে পর্যায়ক্রমে নিজ হাতেই কাঁচি দিয়ে চুল ছেঁটে দেন প্রধান শিক্ষক। বিষয়টি অভিভাবকেরা জানতে পেরে বিদ্যালয়ে ছুটে আসেন এবং প্রধান শিক্ষককে অবরুদ্ধ করেন। খবর পেয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলীপ কুমার দাসসহ পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। এরপর ইউএনও আনোয়ার পারভেজ ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবদুর রউফ ঘটনাস্থলে এসে অভিভাবকদের অভিযোগ শোনেন এবং সাক্ষ্যপ্রমাণ নেন। প্রাথমিকভাবে প্রধান শিক্ষক সেকেন্দার আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

ইউএনও আনোয়ার পারভেজ বলেন, প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মাথার চুল কাটার অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। এ ছাড়া তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের জমি বন্ধক রেখে টাকা আত্মসাৎ, অবৈধভাবে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বিদ্যুৎ বিল আদায়, বিদ্যালয়ে নিয়মিত না আসাসহ নানাবিধ অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব অভিযোগ তদন্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। চুল কাটার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় এবং অন্যান্য অভিযোগের তদন্ত প্রভাবমুক্তভাবে সম্পন্ন করার জন্য প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বভার দেওয়া হয়েছে সহকারী প্রধান শিক্ষক রতন কুমার সরকারকে। আগামী তিন কার্য দিবসের মধ্যে তদন্ত কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।