খালেদার চিকিৎসার জন্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বিএনপি

নজরুল ইসলাম খান। প্রথম আলো ফাইল ছবি
নজরুল ইসলাম খান। প্রথম আলো ফাইল ছবি

খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য সব প্রক্রিয়ায় চেষ্টা করেছে জানিয়ে বিএনপি বলেছে, তারা খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার জন্য সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। আজ রোববার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ২০-দলীয় জোটের আয়োজনে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে ‘প্রতিবাদ সমাবেশে’ এ কথা বলেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে কারাবন্দী। গত বছরের ১ এপ্রিল থেকে চিকিৎসার জন্য তাঁকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রাখা হয়েছে। তাঁর মুক্তির দাবিতে প্রতিবাদ সভায় ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘সব প্রক্রিয়াই আমরা চেষ্টা করেছি। আইনি প্রক্রিয়ায় আমরা তার মুক্তির চেষ্টা করেছি। প্রশাসন চাইলেই তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করতে পারে, কিন্তু করছে না। সে ব্যাপারে আমরা সরকারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি, কথা বলেছি। আন্দোলনের বিভিন্ন প্রোগ্রামও হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে যে প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব সেটাই তাঁরা করবেন এবং ২০ দলীয় জোট তাতে থাকবে।

খালেদার মুক্তি আন্দোলনে নিজেদের ব্যর্থতার প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা লজ্জিত যে ২০ দলীয় জোট বলুন বা বিএনপি বলুন, আমরা এমন আন্দোলন গড়ে তুলতে পারি নাই, যে আন্দোলনে খালেদা জিয়ার মুক্তি সম্ভব হবে। ’

নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা গণতান্ত্রিক পন্থায় আন্দোলন-সংগ্রাম করতে চাই এবং গণতন্ত্রের পথেই আমরা গণতন্ত্রের নেত্রীকে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনতে চাই। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের এই আকাঙ্ক্ষা অবশ্যই পূরণ হবে।’

খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে বিএনপির নেই নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে সরকার কোনো অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। মিথ্যা কথা বলে বিচার বিভাগকে বিভ্রান্ত করা হয়েছে, বিচার বিভাগের ওপর চাপ সৃষ্টি করা হয়েছে।

সমাবেশে লেবার পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আবদুল হালিম, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমীর মনজুরুল ইসলাম, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, জাপা মহাসচিব লুৎফুর রহমান প্রমুখ।