নিখোঁজ ছাত্রটির যখন খোঁজ মিলল, তখন তিনি জঙ্গি

শেখ ইফতেখারুল ইসলাম
শেখ ইফতেখারুল ইসলাম

জঙ্গি তৎপরতায় জড়িত থাকার অভিযোগে ঢাকায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের একজন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ ছাত্র শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ। ৯ জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেছে।

পুলিশের দাবি, গ্রেপ্তার পাঁচজন নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসার আল-ইসলামের সদস্য

ইফতেখারুল ভেটেরিনারি অনুষদ থেকে সদ্য স্নাতক পাস করা শিক্ষার্থী। তিনি থাকতেন শহীদ শামছুল হক হলে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, হলের সিসিটিভি ক্যামেরায় ৯ জানুয়ারি ভোরে ব্যাগ নিয়ে হল থেকে বের হতে দেখা যায় তাঁকে। পরে আর কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। ইফতেখারুলের বাড়ি হবিগঞ্জের বানিয়াচং উপজেলায়।

ইফতেখারুলের বড় ভাই সাইফুল ইসলাম আজ প্রথম আলোকে বলেন, একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে ও টেলিভিশন চ্যানেলের খবরে তাঁর ভাইকে গ্রেপ্তার অবস্থায় দেখানো হয়েছে। ভাইয়ের খোঁজ নিতে আজ রাতেই তিনি ঢাকায় যাচ্ছেন।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, ঢাকায় একই নামে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিখোঁজ শিক্ষার্থী কি না, সেটা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। ঢাকা থেকে এখনো তাঁদের কিছু জানানো হয়নি।

গতকাল রোববার রাজধানীর সবুজবাগ থানার বালুর মাঠ এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে পাঁচ ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম বিভাগ। আজ সোমবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (সিটিটিসি) মো. ইলিয়াছ শরীফ এ কথা জানান।

গ্রেপ্তার করা ব্যক্তিরা হলেন নিজাম উদ্দিন, রায়হান ভূঁইয়া, হানিফ উদ্দিন ওরফে সুমন, শেখ ইফতেখারুল ইসলাম ওরফে আরিফ ও মুফতি মুসলিম উদ্দিন ওরফে মুসলিম। তাঁদের কাছ থেকে তিনটি চাপাতি, তিনটি ব্যাগ ও চারটি স্মার্টফোন উদ্ধার করা হয়। পরে আদালতের মাধ্যমে তাঁদের চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়।