চীনে করোনাভাইরাস, বিকল্প বাজারে নজর সরকারের

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে মতবিনিময় করেন কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই ডেভিড মেরিটের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি। ছবি: পিআইডি
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে মতবিনিময় করেন কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই ডেভিড মেরিটের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল। ঢাকা, ১০ ফেব্রুয়ারি। ছবি: পিআইডি

দেশে আদা-রসুনসহ অন্যান্য নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে চীনের বিকল্প বাজারে সরকার নজর রাখছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। সোমবার সচিবালয়ে এক মতিবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি এ বিষয়ে কথা বলেন।

বাংলাদেশে সফররত কানাডার সাচকাচোয়ান প্রদেশের কৃষিমন্ত্রী এইচ ই ডেভিড মেরিটের নেতৃত্বে থাকা একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর ওই মতবিনিময় হয়। এ মতবিনিময়ে বাংলাদেশ-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্কিত বিষয়ে কথা হয়।

চীনের জন্য পেঁয়াজের বাজারে প্রভাব পড়বে না জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে যে পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি হয়, এতে করে চায়না থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হয়ে গেলেও সমস্যা হবে না। এখন মিয়ানমার, তুরস্ক, মিশর ও পাকিস্তান থেকে পেঁয়াজ আসছে।’

তবে রসুন-আদাসহ অন্যান্য মসলার সমস্যা হবে কিনা সেটি দেখা হচ্ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘সমস্যা হলে আমাদের বিকল্প বাজারে যেতে হবে। কিন্তু এ মুহূর্তে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি।’

রসুনের দাম হঠাৎ ১২০ টাকা থেকে বেড়ে ২০০ টাকা হয়ে গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে খুব সিরিয়াসলি নজর রাখছি। সমস্যা একটু হলেই ব্যবসায়ীরা সুযোগ নেয়, পেঁয়াজেও সুযোগ নিয়েছিল।’ চীনে করোনাভাইরাস সমস্যাটি দীর্ঘমেয়াদি হলে এর প্রভাব দেশের বাজারেও পড়ার আশঙ্কা রয়েছে বলে তিনি জানান।

করোনাভাইরাসের কারণে ব্যবসা-বাণিজ্যে কতটুকু প্রভাব পড়েছে সে বিষয়ে ব্যবসায়ীদের নিকট প্রতিবেদন চাওয়া হয়েছে উল্লেখ করে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীরা এখনো প্রতিবেদন দিতে পারেনি। প্রতিবেদন পেলেই সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ক্ষতির বিষয়ে জানাতে ব্যবসায়ী সংগঠনগুলো দুই-তিন দিন সময় চেয়েছে। আশা করছি কালকের মধ্যে তারা হয়তো একটা আইডিয়া দিতে পারবে। এখনই বলার সময় হয়নি কী পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে’।

টিপু মুনশি বলেন, ‘আমাদের অনেক আইটেম আছে যেগুলো চীনের ওপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে রেডিমেড গার্মেন্টসের অধিকাংশ ফেব্রিকস চীন থেকে আসে, এটার ওপর প্রভাব পড়ছে কিনা দেখতে হবে। তবে এখন পর্যন্ত খুব একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়নি।’

তৈরি পোশাক খাতে রাতারাতি বিকল্প বাজার পাওয়া যাবে না জানিয়ে টিপু মুনশি বলেন, চীন কয়েক দফা ছুটি বাড়িয়েছে, তারা আবার ছুটি বাড়ালে তৈরি পোশাক খাতে প্রভাব পড়বে। গার্মেন্টস সেক্টরের ব্যবসায়ীরা কী রিপোর্ট দেয় সেটি দেখতে হবে।