জামিন পাননি এনামুল বাছির

এনামুল বাছির
এনামুল বাছির

ঘুষ লেনদেনের মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাময়িক বরখাস্ত হওয়া পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে কেন তাঁকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্টদের দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের এক দ্বৈত বেঞ্চ আজ মঙ্গলবার এ আদেশ দেন।

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক আদালতের আদেশের বিষয়টি সাংবাদিকদের জানান।

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান। জামিন আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফারুক আলমগীর চৌধুরী ।

গত বছরের ২২ জুলাই এনামুল বাছির গ্রেপ্তার হন। পরের দিন তাঁর করা জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত (তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ https://www.prothomalo.com/bangladesh/article/1605725) দেন।

অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন, কমিশনের তথ্য পাচার ও শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে দুদক পরিচালক খন্দকার এনামুল বাছিরকে এর আগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে সংস্থাটি।

গত বছরের ১৬ জুলাই ৪০ লাখ টাকার ঘুষ কেলেঙ্কারির অভিযোগে পুলিশের বরখাস্ত উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) মিজানুর রহমান ও দুদক পরিচালক এনামুল বাছিরের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।

মিজানুর রহমানকে দায়মুক্তি দিতে ৪০ লাখ টাকা ঘুষ নেওয়ার জন্য ‘চুক্তি’ করেন খন্দকার এনামুল বাছির। সঙ্গে দাবি করেছেন একটি গাড়ি। ৪০ লাখ টাকার মধ্যে ২৫ লাখ টাকা গত বছরের ১৫ জানুয়ারি রমনা পার্কে বাজারের ব্যাগে করে নগদে নিয়েছেন দুদকের বরখাস্ত হওয়া এই পরিচালক। তিনি দুদকের অনুসন্ধান ও তদন্ত-২ অনুবিভাগের দায়িত্বে ছিলেন। ঘুষ লেনদেনের অভিযোগ পেয়েই পদক্ষেপ নেয় দুদক। এ ঘটনা তদন্তে কমিশনের সচিব দিলওয়ার বখতকে প্রধান করে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। এ কমিটির প্রতিবেদনের ওপর ভিত্তি করেই খন্দকার এনামুল বাছিরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

খন্দকার এনামুল বাছির ১৯৯১ সালে অ্যান্টি করাপশন অফিসার (এসিও) হিসাবে তৎকালীন দুর্নীতি দমন ব্যুরোতে যোগ দেন। দুর্নীতি দমন কমিশন গঠিত হওয়ার পর তিনি সহকারী পরিচালক, উপপরিচালক ও পরিচালক হিসাবে পদোন্নতি পান।

আরও পড়ুন: