বঙ্গবন্ধু হত্যায় জড়িতদের বের করতে তদন্ত কমিশন গঠনের দাবি

Parlament
Parlament

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যার পেছনে জড়িতদের খুঁজে বের করতে তদন্ত কমিশন গঠন করার দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সাংসদ শেখ ফজলুল করিম সেলিম। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এই দাবি জানান।

শেখ সেলিম বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার সঙ্গে কারা কারা জড়িত, তাঁদের সবাইকে খুঁজে বের একটি তদন্ত কমিশন গঠন করতে হবে। খুনিরা মারা গেলেও তাদের চিহ্নিত করতে হবে। দেশের বিরুদ্ধে কারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তা ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে জানানোর জন্য হলেও এটা করতে হবে।

বিদেশে থাকা বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দেশে ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থা করার দাবি জানান সেলিম। খুনিদের আশ্রয় দেওয়া দেশগুলোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘তারা খুনিদের ফেরত দেয় না। বলে আমাদের দেশের আইনে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের সাজা দেওয়া হয় না। এই মৃত্যুদণ্ড তো আমাদের দেশে অপরাধ করার কারণে হয়েছে। তাদের দেশে তো অপরাধ করেনি।’

একটি বইয়ের উদ্ধৃতি দিয়ে বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ব্রিগেডিয়ার খালেদ মোশাররফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন শেখ সেলিম। তিনি বলেন, খালেদ মোশাররফ খন্দকার মোশতাকের সঙ্গে সমঝোতা করে বঙ্গবন্ধুর খুনিদের পালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় তৎকালীন সেনাপ্রধান কে এম শফিউল্লাহ কোনো পদক্ষেপ নেননি। তিনি অভিযোগ করে বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে সেনাবাহিনীর সব জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা যুক্ত ছিলেন। অনেক বেসামরিক আমলাও এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।

পেঁয়াজের দাম বাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সংসদে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, আত্মনির্ভরশীল না হলে বিপদে পড়তে হবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা দিয়েছেন, এমনভাবে কাজ করতে হবে যাতে আগামী তিন বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পেঁয়াজ রপ্তানিকারক দেশ হতে পারে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে ৯০ শতাংশ পেঁয়াজ আমদানি করা হতো। এটি বছরের পর বছর হয়ে আসছে। গত ২৯ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ২৫ অক্টোবরের পর পেঁয়াজ রপ্তানির বিষয়টি ইতিবাচকভাবে বিবেচনা করবেন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, তাদের নিজস্ব বাজারেই সমস্যা তৈরি হয়। তাদেরও পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়।

সরকারি দলের সাংসদ নূর মোহাম্মদ বলেন, প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় মানুষ খেয়ে-পড়ে ভালো আছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশে অতি ধনী মানুষের সংখ্যা দ্রুত গতিতে বাড়ছে। আয় ও সম্পদের বৈষম্য কমাতে ব্যবস্থা নিতে হবে।

সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে সরকারি দলের সাংসদ অসীম কুমার উকিল বলেন, কোনো কবি কবিতা লেখার জন্য এখন আর খড়ের ঘর খুঁজে পাবেন না।

অন্যদের মধ্যে সরকারি দলের সাংসদ জয়া সেন গুপ্তা, শাহে আলম, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, জুয়েল আরেং প্রমুখ বক্তব্য দেন।