রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে সুসংবাদ সুদূর ভবিষ্যতে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে তিনি সুদূর ভবিষ্যতে সুসংবাদ দেবেন।

আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই কথা বলেন। তবে সুদূর ভবিষ্যৎ বলতে কবে নাগাদ এবং কী সুসংবাদ দেবেন—তা স্পষ্ট করেননি পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

আব্দুল মোমেন বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আপনারা অনেকেই জিজ্ঞাসা করবেন। এ ব্যাপারে আমাদের যে কৌশলগত অবস্থান তাতে মোটামুটিভাবে ভালো করছি। আমি আশা করছি যে, সুদূর ভবিষ্যতে আমি আপনাদের সুসংবাদ দেব।’

অবশ্য এর আগের দিন গতকাল সোমবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে বলেছিলেন, ‘আশা করা যায়, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ শীঘ্র রাখাইন রাজ্যে সহায়ক পরিবেশ তৈরি করবে এবং দ্রুত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন শুরু করা সম্ভব হবে।’

আজকের বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের অর্থনীতি খুব ভালো করছে। তবে সামনে জলবায়ু পরিবর্তন, অবকাঠামো, আমলাতান্ত্রিক জটিলতাসহ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে। তিনি বলেন, রাজস্ব আহরণে ঘাটতি আছে। মেটাতে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন। সনাতন পদ্ধতিতে রাজস্ব আহরণ পদ্ধতি বদলাতে হবে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং ২৮টি হাইটেক পার্ক তৈরি করছেন। এগুলোতে বিনিয়োগ করার জন্য অনেক তাগাদা আসছে। তবে এখানে নিজেদের একটা দুর্বলতা আছে। যখন প্রস্তাবগুলো আসে, তখন ধীর গতি ও সময় নেওয়া হয়। তাতে অনেক সময় সেগুলো বেহাত হয়। এ ব্যাপারে সজাগ হতে হবে।

আব্দুল মোমেন বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অর্থনৈতিক কূটনীতির ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছে। বিনিয়োগ, রপ্তানি, রপ্তানির পরিধি বাড়ানো, প্রবাসে বাঙালিদের সেবার মান বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া ‘পাবলিক ডিপ্লোমেসিতে’ও জোর দেওয়া হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রশংসা করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর মহানুভবতা তাঁর মেয়েও পেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর হৃদয় তাঁর পিতার মতো বিশাল।