উখিয়ায় বিজিবির সঙ্গে 'বন্দুকযুদ্ধে' নিহত ১

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের উখিয়ার নাফ নদীর সীমান্তে আজ বৃহস্পতিবার ভোরে বিজিবির সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে মংকিউ তঞ্চঙ্গ্যা (২৫) নামের এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের বাইশফাঁড়ি এলাকার চাচিংহ্লা তঞ্চঙ্গ্যার ছেলে।

বিজিবির ভাষ্য, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে নাফ নদী অতিক্রম করে তিনি ইয়াবার চালান নিয়ে বাংলাদেশে আসছিলেন। এ সময় বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। বিজিবি ঘটনাস্থল থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার ইয়াবা বড়ি, তিনটি গুলিসহ একটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছে।

বিজিবি ৩৪ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে পালংখালী ইউনিয়নের নাফ নদীর তীরবর্তী কাঁকড়া ব্রিজ-সংলগ্ন বেড়িবাঁধে কাছে মিয়ানমারের দিক থেকে একটি নৌকা আসছিল। নৌকায় ছিলেন পাঁচ থেকে ছয়জন লোক। বিজিবির টহল দল নৌকাটি থামার সংকেত দিলে পাচারকারীরা বিজিবিকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকেন। আত্মরক্ষার্থে বিজিবির সদস্যরাও পাল্টা গুলি করেন। একপর্যায়ে পাচারকারীরা গুলি করতে করতে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যান। পরে বিজিবির সদস্যরা গুলিবিদ্ধ মংকিউ তঞ্চঙ্গ্যাকে উদ্ধার করে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিজিবি কর্মকর্তারা বলেন, পরে স্থানীয় লোকজন নিহত ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করেন। বিজিবির দাবি, নিহত মংকিউ তঞ্চঙ্গ্যা চিহ্নিত মাদক পাচারকারী। মিয়ানমার সীমান্ত দিয়ে তিনি এর আগেও ইয়াবার চালান নিয়ে আসেন।

জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক মেরাজ হোসেন বলেন, বিজিবি সকালে এক ব্যক্তিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার আগেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন দেখা গেছে।

উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, গুলিতে ওই তরুণের মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে উখিয়া থানায় হত্যা, অস্ত্র ও মাদক আইনে পৃথক তিনটি মামলা হয়েছে।

২০১৮ সালের ৪ মে থেকে সারা দেশে মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর র‌্যাব, বিজিবি, পুলিশ, মাদক ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, মানব পাচারকারী দালাল চক্র ও ডাকাত দলের সঙ্গে গোলাগুলির ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে পর্যন্ত চারজন নারীসহ শুধু কক্সবাজার জেলায় ২১২ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে দুই নারীসহ ৬৩ জন রোহিঙ্গা নাগরিক রয়েছেন।