কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে র‍্যাগিংয়ের দায়ে পাঁচ শিক্ষার্থী বহিষ্কার

র‌্যাগিংয়ের দায়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থীকে বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৭ তম সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র‍্যাগিংকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, র‍্যাগিংয়ের দায়ে স্থানীয় সরকার ও নগর উন্নয়ন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র জাকির হোসেনকে তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। একই বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র তানভীরুল ইসলাম ও ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র মেহেদী হাসানকে দুই বছরের জন্য এবং সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী তোয়াবা নুসরাত ও শায়রা তাসনিমকে এক বছরের জন্য বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় চারুকলা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্রী মৌমিতা পারভীনকে মুচলেকার শর্তে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

বহিষ্কৃতদের মধ্যে জাকির, তানভীরুল ও মেহেদী ৬ ফেব্রুয়ারি রাতে ক্যাম্পাস সংলগ্ন একটি মেসে প্রথম বর্ষের ছাত্র ইমরানকে র‍্যাগিং করেন। মাত্রাতিরিক্ত র‌্যাগিংয়ের কারণে ওই ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হয়। একই রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি এলাকায় একটি মেসে এক ছাত্রীর সঙ্গে র‍্যাগিংয়ের নামে নানা ধরনের আপত্তিকর আচরণ করে ভিডিও ধারণ করা হয়। পরে ওই ছাত্রীও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে প্রথমে ত্রিশাল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

র‌্যাগিংয়ের কারণে দুই শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার পর গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা র‌্যাগিংবিরোধী বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। বিক্ষোভে ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং বন্ধ করার দাবি জানানো হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার হুমায়ুন কবীর প্রথম আলোকে বলেন, র‌্যাগিংয়ে যুক্ত শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন মেয়াদে বহিষ্কার করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি তিন ছাত্রীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে একজনের অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে র‌্যাগিং নিষিদ্ধ করা হয়েছে।