নিয়ম মানছে না বেশির ভাগ সংসদীয় কমিটি

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

একাদশ জাতীয় সংসদ যাত্রা শুরুর ১০ কার্যদিবসের মধ্যে ৫০টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটি করা হয়েছিল। দ্রুততার সঙ্গে কমিটি গঠন করা হলেও কাজের ক্ষেত্রে বেশির ভাগ কমিটির তেমন তৎপরতা নেই। মাসে অন্তত একটি বৈঠক করার নিয়মও মানছে না বেশির ভাগ কমিটি।

সংসদীয় কমিটির প্রধান কাজ কমিটির আওতাধীন মন্ত্রণালয়ের কাজ পর্যালোচনা, অনিয়ম ও গুরুতর অভিযোগ তদন্ত করা। বিল পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে মন্ত্রণালয়কে পরামর্শ দেওয়া বা সুপারিশ করাও সংসদীয় কমিটির কাজ। কিন্তু অনেক কমিটি মন্ত্রণালয় থেকে নানা ধরনের সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সংসদীয় কমিটির কার্যবিবরণী থেকে জানা গেছে, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়েও আলোচনা হচ্ছে কমিটিতে। চাইছে মন্ত্রণালয়ের খরচে বিদেশ ভ্রমণে যেতে।

জাতীয় সংসদে মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ৩৯টি এবং বিষয় বা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ১১টি স্থায়ী কমিটি আছে। গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে নভেম্বর—এই ১০ মাসে প্রতিটি কমিটির ন্যূনতম ১০টি বৈঠক করার কথা।

সংসদ সচিবালয় সূত্র জানায়, এই ১০ মাসে বেশির ভাগ কমিটিই নিয়ম অনুযায়ী বৈঠক করেনি। মন্ত্রণালয়ভিত্তিক মাত্র ৩টি সংসদীয় কমিটি ১০টি বা তার বেশি বৈঠক করেছে। ৭টির কম করে বৈঠক করেছে ২৪টি কমিটি। তিনটি করে বৈঠক করেছে জনপ্রশাসন, খাদ্য, অর্থ, ভূমি, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি এইচ এন আশিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, পারিবারিক কারণে তাঁকে দেশের বাইরে থাকতে হয়েছে, যে কারণে নিয়মিত বৈঠক করতে পারেননি।

চারটি করে বৈঠক করেছে ধর্ম; পার্বত্য চট্টগ্রাম; স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি; তথ্য এবং স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সভাপতি রুহুল হক মাদানী প্রথম আলোকে বলেন, ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ব্যস্ত থাকেন। মন্ত্রী না থাকলে কমিটির সদস্যরা বৈঠক করতে চান না। এ কারণে বৈঠকের সংখ্যা কিছু কম। তবে সামনে নিয়মিত বৈঠকের আয়োজন করা হবে।

প্রতিরক্ষা, যুব ও ক্রীড়া, পরিকল্পনা, সমাজকল্যাণ, বাণিজ্য, শিল্প এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গত ১০ মাসে ৫টি করে বৈঠক করেছে।

ছয়টি করে বৈঠক করেছে আইন, সংস্কৃতি, শ্রম ও কর্মসংস্থান, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান এবং রেলপথ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। পানিসম্পদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, শিক্ষা এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সাতটি করে বৈঠক করেছে।

গত ১০ মাসে ৮টি করে বৈঠক করেছে বস্ত্র ও পাট, কৃষি, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন, স্বরাষ্ট্র, পররাষ্ট্র এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। আর মহিলা ও শিশু এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ৯টি করে বৈঠক করেছে।

জাতীয় সংসদের কার্যপ্রণালি বিধিতে বলা আছে, কোনো কারণে কমিটির বৈঠক আহ্বান করা সম্ভব না হলে স্পিকার কমিটির সচিবকে বৈঠক আহ্বানের নির্দেশ দিতে পারবেন।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, মনে হয় বেশির ভাগ কমিটি নিয়মিত বৈঠক করে। বিশেষ কারণে কোনো কোনো কমিটি নিয়মিত বৈঠক করতে না পারলে সে বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হবে।

মন্ত্রণালয়ভিত্তিক কমিটিগুলোর মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি সর্বোচ্চ ১৩টি, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ১১টি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি ১০টি বৈঠক করেছে।

># মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত ৩৯টি কমিটি। বিষয় বা প্রতিষ্ঠানভিত্তিক ১১টি স্থায়ী কমিটি আছে।
# মাসে অন্তত একটি বৈঠক করার নিয়ম।
# ১০ মাসে ১০টি বা তার বেশি বৈঠক করেছে মাত্র ৩টি মন্ত্রণালয়ভিত্তিক সংসদীয় কমিটি।
# ২৪টি কমিটি ৭টির কম করে বৈঠক করেছে।

আর গত ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি বৈঠক করেছে সরকারি হিসাবসম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, ১৮টি। এই কমিটি এক দিনে দুটি করে বৈঠক করে থাকে। এ ছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটি পাঁচটি, অনুমিত হিসাব কমিটি পাঁচটি এবং সরকারি প্রতিশ্রুতি-সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি ছয়টি বৈঠক করেছে।

সংসদের কার্যক্রম নিয়ে নিয়মিত গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। গত দশম সংসদ নিয়ে টিআইবির পরিচালিত গবেষণায় বলা হয়, কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের সময়সীমা বা বাধ্যবাধকতা না থাকা কমিটির কার্যকরতায় সীমাবদ্ধতা হিসেবে কাজ করে। কমিটির করা সুপারিশগুলোর মধ্যে ৪৫ শতাংশ বাস্তবায়িত হয়েছিল।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, সংসদীয় কমিটি কতটুকু কার্যকর হবে, তা নির্ভর করে সংসদের চরিত্রের ওপর। এই সংসদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। তারপরও কমিটি অপরিহার্য। বিধি অনুযায়ী আনুষ্ঠানিকতার জন্য হলেও কমিটিগুলোর নিয়মিত বৈঠক করা উচিত। অনেক সময় কমিটিতে স্বার্থের দ্বন্দ্ব কাজ করে, ফলে কমিটি যথাযথ ভূমিকা পালনে ব্যর্থ হয়। আবার যতটুকু ভূমিকা রাখতে দেখা যায়, মন্ত্রণালয় সুপারিশ খুব বেশি বাস্তবায়ন করে না। এসব কারণে সংসদীয় কমিটিগুলো প্রত্যাশিত ভূমিকা রাখতে পারছে না।

বিভিন্ন মন্ত্রণালয় থেকে সুবিধা আদায়
ধর্ম মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি গত বছরের ১০ জুনের বৈঠকে পবিত্র হজ, চাঁদ দেখা, মন্দির-শ্মশান সংস্কারের মতো মন্ত্রণালয়ের কাজগুলোয় নিজেদের সম্পৃক্ত করতে বলেছিল। বিশেষ করে হজ কার্যক্রমে কমিটিকে সম্পৃক্ত না করায় অনেকে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন। পরবর্তী সময়ে সংসদীয় কমিটির দুজন সদস্যকে সরকারি হজ প্রতিনিধিদলে রাখা হয়। এ ছাড়া কমিটির ৯ সদস্যের প্রত্যেকে পাঁচজন করে প্রতিনিধিকে রাষ্ট্রীয় খরচে হজে পাঠানোর সুযোগ করে দেয় মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি মন্ত্রণালয় বলেছে, ভবিষ্যতে প্রকল্প প্রণয়নে মন্দির, শ্মশান, আশ্রম তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে সাংসদদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

গত বছর আগস্টে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্যদের জন্য বিশেষ প্রকল্প বরাদ্দ দেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট জেলা পরিষদে চিঠি দেয় মন্ত্রণালয়।

ত্রাণ ও দুর্যোগ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি দ্বিতীয় বৈঠকে সুপারিশ করে স্থায়ী কমিটির সদস্যদের অনুকূলে বিশেষ বরাদ্দ দেওয়ার জন্য। পরে মন্ত্রণালয় জানায়, কমিটির সদস্যদের বিশেষ বরাদ্দ প্রদানের কার্যক্রম নেওয়া হয়েছে।

অনেকে আবার একেবারে ব্যক্তিগত বিষয়ও সংসদীয় কমিটির বৈঠকের আলোচনায় এনেছেন। কার্যবিবরণী থেকে দেখা যায়, ৭ জুলাই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে কমিটির সদস্য নাদিরা সুলতানা বলেন, মধুমতি টাইলস ফ্যাক্টরিটি তাঁর প্রয়াত স্বামী প্রতিষ্ঠা করেন। এখন তিনি সেটি চালাচ্ছেন। তিনি টাইলস আমদানিতে শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করে বলেন, এতে রাজস্ব আয় বাড়বে আবার দেশি কারখানাগুলো প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারবে।

গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটির সদস্য জিল্লুল হাকিম। তাঁর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁর নামে বরাদ্দ করা জমি বেদখল এবং পূর্বাচল প্রকল্পে তাঁর ছেলের কিস্তির টাকা পরিশোধ করার পরও প্লট বুঝিয়ে না দেওয়া বা টাকা ফেরত দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করে সংসদীয় কমিটি।

বিদেশ সফর
গত বছরের শুরু থেকে একাধিক সংসদীয় কমিটি বিদেশে শিক্ষাসফর আয়োজনের জন্য মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, সুইজারল্যান্ড, ইতালি ও জার্মানিতে শিক্ষাসফর আয়োজনের সুপারিশ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। মন্ত্রণালয় বলেছে, সুবিধাজনক সময়ে এই সফরের আয়োজন করা হবে।

প্রতিবেশী দেশের সমাজকল্যাণ কার্যক্রম দেখার জন্য বিদেশ সফরের আয়োজন করার সুপারিশ করে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। সম্প্রতি কমিটির ষষ্ঠ বৈঠকে মন্ত্রণালয় জানায়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ে এ জন্য বাজেট সংকুলান হচ্ছে না। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট সংস্থান করার জন্য ২৬ নভেম্বর নথি পাঠানো হয়েছে।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি তাদের প্রথম বৈঠকেই সুপারিশ করে মন্ত্রণালয় আয়োজিত যেকোনো বিদেশ সফরে কমিটির সদস্যদের পর্যায়ক্রমে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা ইউরোপের দেশগুলোর প্রাথমিক শিক্ষাকাঠামো সরেজমিন পরিদর্শন করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে চায়। এ জন্য তারা মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেছে।

৩১ জুলাই জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি স্থায়ী কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করে বিভিন্ন দেশের প্রশাসনিক সংস্কার ও উন্নয়নকাঠামো সরেজমিন পরিদর্শন কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলে। এ জন্য প্রয়োজনে চলমান উন্নয়ন প্রকল্প সংশোধন করে এ প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করারও পরামর্শ দেয় কমিটি। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য সংস্থাপ্রধান ও প্রকল্প পরিচালকদের তাগাদাপত্র দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি পৃথক কার্যক্রম গ্রহণের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।

রোহিঙ্গাদের ফেরাতে কূটনৈতিক তৎপরতার পাশাপাশি চাপ সৃষ্টি করতে আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোতে সফরের ব্যবস্থা করতে মন্ত্রণালয়কে সুপারিশ করেছিল পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আলোচনা করতে গত ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর সিঙ্গাপুর এবং ২৭ থেকে ৩০ অক্টোবর থাইল্যান্ড ভ্রমণ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়-সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। কমিটির সভাপতি ফারুক খান, সদস্য নুরুল ইসলাম নাহিদ ও কাজী নাবিল আহমেদ ভ্রমণ করেন। তাঁরা কমিটিতে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। তাতে বলা হয়, আসিয়ান সম্মেলনের আগে এই সফর রোহিঙ্গা ইস্যুতে খুবই সময়োচিত এবং সফল হয়েছে।

সংসদ বিষয়ে গবেষক চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক নিজাম উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, সপ্তম সংসদে সংসদীয় কমিটি ভালো কার্যকর ছিল। এরপর থেকে কমিটির কার্যকরতা কমতে থাকে। এখন সংসদে কার্যকর বিরোধী দল নেই। সে কারণে সংসদের মতো সংসদীয় কমিটিও খুব বেশি কার্যকর বলে মনে হয় না। তিনি বলেন, সংসদীয় কমিটি যদি মন্ত্রণালয় থেকে সুবিধা নেয়, ব্যক্তিগত বিষয়ে আলোচনা করে বা মন্ত্রণালয়ের খরচে বিদেশ যাওয়ার সুপারিশ করে, তাহলে মন্ত্রণালয়কে জবাবদিহি করার নৈতিক জায়গা থাকে না। কমিটির বিদেশ সফরের জন্য সংসদ সচিবালয় থেকে আলাদা বাজেট করা যায়।