শুরুতেই যন্ত্রে গোলযোগ, কর্মীর নেই প্রশিক্ষণ

মশকনিধনে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। গতকাল বিকেলে আশকোনা এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
মশকনিধনে ছিটানো হচ্ছে ওষুধ। গতকাল বিকেলে আশকোনা এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

এডিস ও কিউলেক্স মশা নিধনে এ বছর প্রথমবার বিশেষ কর্মসূচি শুরু করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। তবে কর্মসূচির শুরুতেই মশামারা যন্ত্রে গোলযোগ দেখা দেয়। দুটি ভেহিক্যাল মাউন্টেন্ড ফগার যন্ত্রের একটি চলেনি। যন্ত্রের চালকেরও প্রশিক্ষণ ছিল না। দুটি যন্ত্রেরই নল থেকে ধোঁয়া বের না হয়ে আগুনের স্ফুলিঙ্গ বের হতে দেখা যায়।

গতকাল শনিবার সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মিরপুর-১৩ নম্বরের পুলিশ স্টাফ কলেজ এলাকায় মশকনিধনের এ বিশেষ কর্মসূচি শুরু হয়। উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা। সকালে ভেহিক্যাল মাউন্টেন্ড ফগার যন্ত্র দুটি চালু করতে গেলে গোলযোগ দেখা দেয়। এর একটির ব্যারেলের (নলের) মুখ থেকে আগুনের শিখা বের হয়। আশপাশে থাকা লোকজনের গায়ে আগুনের তাপ লাগে।

জানা গেছে, এই বিশেষ কর্মসূচিতে মশা নিয়ন্ত্রণে আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে নতুন করে ১০ জন কর্মী কাজ করবেন। তাঁদের ৫ জন নিয়মিত লার্ভিসাইডিং ও ফগিং কার্যক্রমে এবং অন্য ৫ কর্মী নিয়মিত কর্মীদের সঙ্গে এডিস ও কিউলেক্স মশার প্রজননস্থল (হট স্পট) চিহ্নিত ও ধ্বংস করবেন।

ঘটনাস্থলে থাকা গণমাধ্যমকর্মীরা এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোমিনুর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি যন্ত্রটির স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ। যিনি এ যন্ত্র চালাচ্ছিলেন, তিনি এ কাজে প্রশিক্ষিত নন। সে কারণে ঠিকমতো চালাতে না পারায় এমন ঘটনা ঘটেছে। যন্ত্রগুলোর ওয়ারেন্টি আছে। কোনো গোলযোগ দেখা দিলে যাদের কাছ থেকে কেনা হয়েছে, তাদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।

যন্ত্র দুটি চালানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত এক মশকনিধনকর্মী বলেন, এসব যন্ত্র ব্যবহারে তাঁর কোনো প্রশিক্ষণ নেই। এ কারণে তিনি জানেন না কী সমস্যার কারণে যন্ত্র চলছে না বা আগুন জ্বলেছে।

ডিএনসিসির নিয়মিত কর্মসূচিতে মশা কমছে না বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। এডিস ও কিউলেক্স মশা বেড়েছে মেনে নিয়ে মশা নিয়ন্ত্রণে দুই সপ্তাহব্যাপী ‘বিশেষ মশকনিধন কর্মসূচি’ শুরু করেছে সংস্থাটি। গতকাল শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ডিএনসিসির ৫৪টি ওয়ার্ডে চলবে এই কর্মসূচি। নিয়মিত ব্যবহার করা সরঞ্জামের পাশাপাশি ২০টি হুইল ব্যারো এবং মিস্ট ব্লোয়ার পাওয়ার স্প্রে ও দুটি ভেহিক্যাল মাউন্টেড ফগার যন্ত্র এতে ব্যবহার করা হবে।

বিশেষ কর্মসূচির শুরুতে প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, ‘ক্র্যাশ প্রোগ্রাম ১৪ দিন ধরে চলবে এবং জনগণ নিশ্চয়ই এর সুফল পাবে বলে আমরা আশা করছি।’

বিশেষ কর্মসূচিতে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমোডর মঞ্জুর হোসেন, সচিব রবীন্দ্রশ্রী বড়ুয়া, উপপ্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল গোলাম মোস্তফা সারোয়ার, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা (অঞ্চল-৪) সালেহা বিনতে সিরাজসহ স্থানীয় কাউন্সিলর ও ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।