খালেদার মুক্তি নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে না: কাদের

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

বিএনপির কারাবন্দী চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয় নিয়ে পর্দার আড়ালে কিছু হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছেন, এ বিষয়ে সব ‘ওপেন সিক্রেট’।

আজ রোববার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

প্যারোলে খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে পর্দার অন্তরালে কিছু হচ্ছে কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘পর্দার অন্তরালে কিছুই নেই। সবকিছুই ওপেন সিক্রেট। কোনোটাই সিক্রেসির মধ্যে নেই।’

সম্প্রতি খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ওবায়দুল কাদেরকে ফোন করেছিলেন। এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে বিএনপির মহসচিব ফোন দিতে পারেন। আর সেটা তিনি প্রধানমন্ত্রীকে জানাবেন। এটাই স্বাভাবিক। এখানে গোপনীয়তার কিছু নেই।

প্যারোল নিয়ে সরকারের অবস্থান প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, খালেদার পরিবার আবেদন করলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বরাবর করতে হবে। এখনো কোনো লিখিত আবেদন করেনি। তিনি বলেন, প্যারোলেও নিয়ম আছে। যুক্তিযুক্ত কারণ তো দিতে হয়। প্যারোল চাইলে সেই কারণ মন্ত্রণালয় দেখবে।

খালেদা জিয়ার মুক্তি নিয়ে বিএনপি আপোস না সংগ্রামে রয়েছে এমন বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটা বিএনপিই বলতে পারবে। আন্দোলনের কথা তারা বারবার বলে আসছেন। তাদের মধ্যে একটা দ্বিচারিতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাদের কেউ বলে মানবিক, কেউ বলে আন্দোলন ছাড়া মুক্তির পথ নেই। আন্দোলন করে যদি মুক্ত করার অঙ্গীকার থাকে এবং সেই সক্ষমতা থাকে, তাহলে আন্দোলন তারা করতে পারে।’ তিনি আরও বলেন, বিএনপিকে আগে ঠিক করতে হবে তারা কোন পথে মুক্তি চায়।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘খালেদা জিয়ার বিষয়টি হচ্ছে আদালতের এখতিয়ার। এটা কোনো রাজনৈতিক মামলা নয়। তাঁকে তো বিনা বিচারে ডিটেনশনে দেওয়া হয়নি যে সরকার মানবিক কারণে বিষয়টা দেখতে পারে। এখানে এই বিষয়টি একেবারেই রাজনৈতিক নয়। এটা দুর্নীতির মামলা। মানবিক বিচার-বিবেচনার বিষয় আদালতই দেখবে। এটা সরকারের বিবেচনার আওতায় আসে না।

বিদেশিদের সঙ্গে বিএনপি বৈঠক প্রসঙ্গে বলেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে আইনের বাইরে তারা কোনো প্রকার চাপ দিতে চায় সেটা সরকার মেনে নেবে না।

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনকে না দিয়ে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। নাছির ও সাবেক মেয়র মহিউদ্দীন বলয় ভাঙার জন্য কি না জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এখানে কোনো বলয়ের বিষয় না। আমরা একটা পরিবর্তন এনেছি। প্রার্থী দেওয়া হচ্ছে গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার বিচারে।’

কুয়েতে মানব পাচারে যুক্ত সাংসদ কাজী শহিদ ইসলামের বিষয়ে জানতে চাইলে সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, দুদককে বিষয়টি তদন্ত করতে বলা হবে।