সাংসদের মানব পাচারের খবরটি ফেক নিউজ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন। ফাইল ছবি

পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন কুয়েতে মানব পাচারের সঙ্গে বাংলাদেশের একজন সাংসদের যুক্ততার খবরটিকে ‘ফেক নিউজ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।

আজ রোববার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এমনটাই দাবি করেন।

বাংলাদেশের এক সাংসদের কুয়েতে মানব পাচার–সংক্রান্ত প্রতিবেদন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে, এ নিয়ে জানতে চাইলে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমরা শুনেছি যে এটা ফেক নিউজ। আমাদের কাছে কোনো তথ্য নেই। আমাদের মিশন ওখান থেকে কোনো খবর দেয়নি। আমরা এখনো কিছু জানি না। এটা বোধ হয় কোনো একটি পত্রিকায় বের হয়েছিল। পরবর্তী সময়ে ওই পত্রিকাই বলেছে এর সত্যতা সম্পর্কে সন্দেহ আছে।’

গত বুধবার কুয়েতের আরবি দৈনিক আল কাবাস ও আরব টাইমস সাংসদসহ বাংলাদেশের মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। কুয়েতের গণমাধ্যমগুলো অভিযুক্ত সাংসদের নাম প্রচার করেনি। তবে কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাসে গতকাল শনিবার খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অভিযুক্ত সাংসদের নাম কাজী শহিদ ইসলাম (পাপুল)। তিনি লক্ষ্মীপুর-২ আসনের সাংসদ।

সেখানে গ্রেপ্তার অভিযান শুরুর আগেই তিনি দেশে চলে এসেছেন। কুয়েতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে স্থানীয় পত্রিকা এ খবর দিয়েছে। স্বতন্ত্র এই সাংসদসহ তিনজনের ওই চক্র অন্তত ২০ হাজার বাংলাদেশিকে মানব পাচারের মাধ্যমে কুয়েতে পাঠিয়ে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকা আয় করেছে বলে দাবি কুয়েত সিআইডির।

যোগাযোগ করা হলে সাংসদ শহিদ ইসলাম শুক্রবার প্রথম আলোর লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধিকে বলেন, ‘সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার কারণে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে। আমি এ ধরনের কোনো অপকর্মের সঙ্গে যুক্ত নই। আমি সুনামের সঙ্গে ব্যবসা করে আসছি।’