সরকারি চাকরি আইনের ৪২ ধারা নিয়ে রুল

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ফৌজদারি মামলায় এক বছরের বেশি মেয়াদে দণ্ডিত হলে কোনো সরকারি কর্মকর্তা তাৎক্ষণিক চাকরি থেকে বরখাস্ত হবেন—সরকারি চাকরি আইনের এমন ধারা (ধারা-৪২) কেন বেআইনি ও সংবিধান পরিপন্থী ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে আজ রোববার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ইকবাল কবিরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল দেন।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব, জাতীয় সংসদের স্পিকার, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসনসচিব, সংসদ সচিবালয়ের সচিবসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এর আগে ২০১৮ সালে সরকারি চাকরি আইন হয়। আইনের ৪২ ধারায় ফৌজদারি মামলায় দণ্ডিত কর্মচারীর ক্ষেত্রে ব্যবস্থা বিষয়ে বলা আছে। এ ধারাটি সংবিধান ও উচ্চ আদালতের রায়ের চেতনার পরিপন্থী উল্লেখ করে ধারাটি বাতিল চেয়ে সাত সচিব বরাবর গত ১৬ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠায় মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। তবে এর জবাব না পেয়ে ৯ ফেব্রুয়ারি এইচআরপিবির পক্ষে হাইকোর্টে রিটটি করা হয়।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।

পরে মনজিল মোরসেদ প্রথম আলোকে বলেন, প্রচলিত আদালত অবমাননার আইনে আদালতের আদেশ অমান্য করলে সর্বোচ্চ ছয় মাস সাজার বিধান আছে। ১৯৮৫ সালের শৃঙ্খলা আপিলবিধি অনুসারে কোনো সরকারি কর্মকর্তার সাজা হলেই তিনি চাকরি থেকে বরখাস্ত হতেন। তবে বর্তমান নতুন আইনে এক বছরের বেশি সাজা হলে সরকারি কর্মকর্তারা চাকরি হারাবেন। অর্থাৎ আদালত অবমাননায় সাজা হলে তাঁকে চাকরি হারাতে হবে না। আইনের ৪২ ধারাটি সংবিধান পরিপন্থী ও উচ্চ আদালতের রায় বাস্তবায়নে প্রতিবন্ধকতা—এসব যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত ওই রুল দেন।