গুলিস্তানে টাকা তোলেন, পরে নেতা হন, সাংসদও হতে পারেন: সিইসি

সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ফাইল ছবি
সিইসি কে এম নূরুল হুদা। ফাইল ছবি

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছেন, অনেক সময় দেখা যায় গুলিস্তান মহল্লায় হকারদের কাছ থেকে কেউ টাকা নেন। কিছুদিন পর হয়তো তাঁকে নেতা হতেও দেখা যায়। এই ব্যক্তি একদিন সাংসদও হতে পারেন। এই ‘ব্যাকগ্রাউন্ড’ নিয়ে ইসিকে কাজ করতে হয়।

সিইসি আজ রোববার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে নতুন যোগ দেওয়া ৪৯ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তার ১২ দিনব্যাপী এক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন।

সিইসি বলেন, ‘লন্ডনে কেউ ছয় মাস থাকলে নির্বাচনের আগে তাদের নিবন্ধন দিয়ে দেয়। ভুয়া ভোটার নেই বলেই তারা ধরে নেয়। আর আমাদের দেশে নির্বাচন কমিশনকে মলম পার্টি, পকেটমার, ব্যাগ টানা পার্টি ও ক্যাসিনো মেম্বার নিয়ে কাজ করতে হয়।’

সিইসি বলেন, ‘আমাদের দেশে অনেক সময় বলা হয়, আমেরিকা এমন করে, সুইজারল্যান্ড, জার্মানিতে এ রকম হয়, আমাদের এখানে হয় না কেন? সেদিন একটা পলিটিক্যাল পার্টি এসে এ কথা বলেছিল। আমি অত্যন্ত নিচু গলায় বললাম কানে কানে, আগে সুইজারল্যান্ড হতে হবে, তারপর। ইউ মাস্ট থিংক গ্লোবালি, বাট অ্যাক্ট লোকালি। তবে সেটি পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করে।’

সিইসি বলেন, ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। সুইজারল্যান্ডেও কাগজের ব্যালটে ভোট হয়। কিন্তু সেখানে যুদ্ধের মতো বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করতে হয় না। পোস্টারে আকাশ ঢেকে যায় না, বাতাস বন্ধ হয়ে আসে না। তিনি দাবি করেন, ইভিএমের ফলে এখন আর সেই দশটা হোন্ডা, বিশটা গুন্ডার যুগ নেই। এদের ভাড়া করতে প্রার্থীদের যেতে হবে না। যারা ভোট ছিনতাই করবে, তাদের কাছে যেতে হবে না। আর নির্বাচনে যাঁরা দায়িত্বে থাকেন, তাঁদের পেছনে যারা টাকা দেয়, তাদের কাছেও যেতে হবে না। একমাত্র ইভিএমই পারে, ভোটারদের কাছে প্রার্থীদের নিয়ে যেতে।

অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম, কবিতা খানম, শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বক্তব্য দেন। ইসি সচিব মো. আলমগীর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।