উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা পদে নিয়োগ কার্যক্রমে স্থিতাবস্থা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ ১ হাজার ৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ কার্যক্রমে ৩০ দিনের জন্য স্থিতাবস্থা রাখতে আদেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে রোববার বিচারপতি এফ আর এম নাজমুল আহাসান ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদেরের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

ওই নিয়োগে কোটা পদ্ধতি অনুসরণে অনিয়মের অভিযোগ তুলে গত ২৮ জানুয়ারি কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর আবেদন করেন মৌখিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়া ৩৪ জন প্রার্থী। এতে ফল না পেয়ে মো. রাশেদুল ইসলামসহ ৩৪ জন গত সপ্তাহে রিটটি করেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. সালাহ উদ্দিন দোলন।

এ বিষয়ে আইনজীবী সালাহ উদ্দিন বলেন, রিট আবেদনকারীদের ওই অভিযোগ চার সপ্তাহের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রুলে অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন বেআইনি হবে না এবং অভিযোগ অনুসন্ধান করে সে অনুযায়ী ফল পুনঃপ্রকাশ করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে। কৃষি সচিব, জনপ্রশাসন সচিব, সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে প্রাথমিকভাবে উত্তীর্ণ এক হাজার ৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তার নিয়োগ কার্যক্রমে ৩০ দিনের জন্য স্থিতাবস্থা বজায় রাখতে আদেশ দেওয়া হয়েছে।

রিট আবেদনকারী পক্ষ জানায়, ২০১৮ সালের ২৩ জানুয়ারি এক হাজার ৬৫০ জন উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। একই বছরের ২ আগস্ট প্রিলিমিনারি পরীক্ষা হয়। পরে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর লিখিত পরীক্ষা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৭ জানুয়ারি মৌখিক পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়। এতে প্রাথমিকভাবে এক হাজার ৬৫০ জন উত্তীর্ণ হন। তবে এ ক্ষেত্রে কোটা পদ্ধতি যথাযথভাবে অনুসরণ না করে ওই ফল প্রকাশ করার অভিযোগ তুলে ফল পুনরায় প্রকাশের জন্য কৃষি সচিব ও অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাছে আবেদন জানিয়েছেন রিটকারীরা।