সৌদিকে সংবেদনশীল হতে ব্যতিক্রমী প্রচার

প্ল্যাকার্ড হাতে আফেন্দি। গতকাল নান্দাইলের নতুন বাজার এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
প্ল্যাকার্ড হাতে আফেন্দি। গতকাল নান্দাইলের নতুন বাজার এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত না পাঠিয়ে তাদের প্রতি সংবেদনশীল হওয়ার জন্য সৌদি আরবের প্রতি আবেদন জানিয়েছেন ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার অবসরপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আফেন্দি নুরুল ইসলাম।

এই দাবিসংবলিত লিখিত একটি প্ল্যাকার্ড বহন করে গতকাল রোববার সকাল থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশ দিয়ে একাকী হেঁটে চলেন নুরুল ইসলাম। এ সময় অনেক পথচারী তাঁর কাছে গিয়ে প্ল্যাকার্ডের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়েন। প্ল্যাকার্ডের লেখাগুলো আরবি, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় লেখা।

নুরুল ইসলামের প্রচারে অনেকে মন্তব্য করেন, স্যারের দাবি ঠিকই আছে। আমাদের দেশ ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছে। অথচ মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গা নাগরিককে সৌদি আরব তাদের দেশ থেকে তাড়িয়ে দিতে চাইছে। ধনী দেশের মানবিকতাবোধ আরও উঁচু হওয়া উচিত।

নান্দাইল সদরের নতুন বাজার এলাকায় নুরুল ইসলামের সঙ্গে কথা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি বলেন, রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী মিয়ানমার সরকারের গণহত্যার শিকার। গাম্বিয়ার করা মামলার পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি আন্তর্জাতিক আদালতের রায়েও বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। মানবিকতার কারণে বাংলাদেশ লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। তাই সৌদি আরবের মতো প্রভাবশালী ইসলামি দেশের উচিত নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের পাশে দাঁড়িয়ে মিয়ানমারের সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা।

নুরুল ইসলাম আরও বলেন, তিনি শুরু থেকেই রোহিঙ্গাদের প্রতি মিয়ানমার সরকারের জঘন্য নির্যাতন ও গণহত্যার প্রতিবাদ করে আসছেন। নির্যাতনের শিকার রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় দিয়ে মানবিকতা প্রদর্শন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তাঁর এই মানবিকতাবোধ সারা বিশ্ব প্রশংসার চোখে দেখে। তাই ৪২ হাজার রোহিঙ্গাকে ফেরত না পাঠিয়ে সৌদি আরবও মানবিকতার একটি দৃষ্টান্ত দেখাতে পারে।

নুরুল ইসলাম নান্দাইলের শেরপুর ইউনিয়নের তুরুন্তিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। বর্তমানে তিনি নান্দাইল পৌরসভার চণ্ডীপাশা মহল্লায় বসবাস করেন। তিনি নান্দাইল শহীদস্মৃতি আদর্শ ডিগ্রি কলেজের (বর্তমানে সরকারি) বাংলা বিষয়ের শিক্ষক ছিলেন।