নিজ গ্রামে বীরের সম্মান পেয়ে আপ্লুত ইমন

অনূর্ধ্ব–১৯ যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিজয়ী দলের ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানীতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গতকাল বিকেলে ছয়ানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে।  প্রথম আলো
অনূর্ধ্ব–১৯ যুব বিশ্বকাপ ক্রিকেট বিজয়ী দলের ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনকে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানীতে সংবর্ধনা দেওয়া হয়। গতকাল বিকেলে ছয়ানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে। প্রথম আলো

নিজ জেলা নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের পৈতৃক ভিটাতে সংবর্ধনা পেয়ে আবেগাপ্লুত অনূর্ধ্ব–১৯ যুব ক্রিকেট বিশ্বকাপ বিজয়ী ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমন। এ সময় তিনি বলেন, ‘আমি কখনো কল্পনাও করিনি আমার গ্রামের মানুষের কাছে থেকে এমন সম্মান পাব। বাংলাদেশের ক্রিকেটকে আরও এগিয়ে নিতে আমি সর্বশক্তি দিয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাব।’

গতকাল রোববার বিকেলে ছয়ানী উচ্চবিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় ইসমাইল-ফিরোজ ফাউন্ডেশন এ সংবর্ধনার আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন ছয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান শাহদাত হোসেন। অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন, ইসমাইল-ফিরোজ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মো. ইসমাইল হোসেন, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. ফিরোজ আলম, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) শিক্ষক ইরফানুজ্জামান সোহাগ প্রমুখ।

 এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া সংগঠনের পক্ষ থেকে ক্রিকেটার পারভেজ হোসেন ইমনকে ফুল ও ক্রেস্ট উপহার দেওয়া হয়।

ক্রিকেটার ছেলের সঙ্গে অনুষ্ঠান স্থলে আসা পারভেজ হোসেনের বাবা মো. সিরাজ গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ছোট থেকেই ক্রিকেটের প্রতি ঝোঁক ছিল পারভেজের। তিনি বরাবরই ইমনকে ক্রিকেটে মনযোগ না দিয়ে পড়ালেখায় মনযোগ দিতে বলতেন। বিভিন্ন সময় বকাঝকা করেছেন। কিন্তু তার মা ও বড় ভাই সব সময় তাকে উৎসাহ দিত। তাদের উৎসাহে ছেলে অনেক দূর এগিয়েছে। বিকেএসপিতে ভর্তি হয়েছে। এখন ছেলের কৃতিত্ব দেখে তিনি অভিভূত।

পারভেজের বাবা বলেন, তিনি চান তাঁর ছেলে একদিন জাতীয় দলের হয়ে খেলবে এবং দেশের সম্মান বয়ে আনবে।