যাত্রীদের নামিয়ে দিয়ে বাসে এক নারীকে গণধর্ষণ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

গাজীপুর মহানগরের বাসন থানার কাছাকাছি এলাকায় বাসে এক নারী গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে বাসের চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজারকে গ্রেপ্তার করেছে। গত বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে এ ঘটনা ঘটলেও বিষয়টি গতকাল রোববার জানাজানি হয়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন বাসচালক শেরপুরের নকলার আমির হোসেন (২৭), বাসের সুপারভাইজার অমিত শীল ওরফে বাবু মিয়া (২২) ও চালকের সহযোগী ময়মনসিংহের ফুলপুরের মো. মোজাম্মেল (২৩)। তাঁরা গাজীপুর আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলার এজাহার ও ওই নারীর পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে পাঁচ সন্তানের জননী ঢাকাগামী বাসে করে গাজীপুর সদর উপজেলা থেকে টঙ্গীতে তাঁর বাসায় ফিরছিলেন। ইছামতী পরিবহনের যাত্রীবাহী বাসটি গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তায় পৌঁছানোর পর বেশির ভাগ যাত্রীকে নামিয়ে দেন চালক ও তাঁর সহযোগীরা। ধর্ষণের শিকার ওই নারী, ৫০ বছর বয়সী আরেক নারীসহ চার থেকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে বাসটি চান্দনা চৌরাস্তা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে যাত্রা করে। কিছু দূর গিয়ে দুই নারী ছাড়া অন্যদের ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়ে নামিয়ে দেন চালক, সহযোগী ও সুপারভাইজার। দুই নারী বাস থেকে নামার চেষ্টা করলেও তাদের নামতে দেওয়া হয়নি। বয়স্ক নারীকে বাসের পেছনে নিয়ে বেঁধে রেখে ৩৫ বছর বয়সী নারীকে বাসের চালক, সুপারভাইজার, চালকের সহকারী ও অজ্ঞাত আরেক ব্যক্তি ধর্ষণ করেন। পরের দিন ভোরে ধর্ষকেরা ওই স্থানে দুই নারীকে বাসের মধ্যে রেখে পালিয়ে যান। বাস থেকে নেমে দুই নারী চিৎকার করলে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে বাসন থানায় নিয়ে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে বাসটি জব্দ করে।

এ ঘটনায় ওই দিনই বয়স্ক নারী বাসন থানায় মামলা করেন। ১৪ ফেব্রুয়ারি তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরের দিন গাজীপুর ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে তাঁরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।

বাসন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম কাউসার চৌধুরী প্রথম আলোকে এ খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেন।