শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড়ের অভিযোগ ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের এক শিক্ষার্থীকে চড়-থাপ্পড় দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের এক নেতার বিরুদ্ধে। সোমবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ওই শিক্ষার্থী।

অভিযোগকারী শিক্ষার্থীর নাম আদনান সাকিব। তিনি ৪৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী এবং আ ফ ম কামালউদ্দিন হলের আবাসিক ছাত্র।

অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন শামীম শিকদার। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের ৪০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলের আবাসিক ছাত্র। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সহসভাপতি।

লিখিত অভিযোগ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, বেলা তিনটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আদনান সাকিব তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে বসে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এ সময় ক্যাফেটেরিয়ার বৈদ্যুতিক সুইচ বোর্ডের কাছে বসে শামীম শিকদার তাঁর এক বান্ধবীর সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে দূর থেকে ইশারা করে শামীমকে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করার অনুরোধ করেন আদনান। এ সময় আদনানকে নিজে গিয়ে সুইচ বন্ধ করতে বলেন শামীম। আদনান সুইচ বন্ধ করতে গেলে শামীম তাঁর পরিচয় জানতে চান। পরিচয় দেওয়ার পর তাঁদের মধ্যে কথা–কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আদনানকে চড়-থাপ্পড় দেন শামীম। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন আদনান।

অভিযোগকারী আদনান সাকিব বলেন, ‘আমি পরিচয় দেওয়ার পরপরই তিনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি আমাকে বিভিন্ন হুমকি-ধমকি দিতে থাকেন। এর প্রতিবাদ করলে তিনি আমাকে চড়-থাপ্পড় দেন। একপর্যায়ে আমার বান্ধবী আমাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলে তাঁকেও লাঞ্ছিত করেন শামীমের বান্ধবী।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে শামীম শিকদার প্রথম আলোকে বলেন, ‘দূর থেকে ইশারা করার কারণে আমি ঠিক বুঝতে পারিনি তিনি (আদনান) আসলে কী বলতে চেয়েছেন। কিছুক্ষণ পর ওই ছেলে নিজে এসে ফ্যানের সুইচ বন্ধ করে এবং আমার কাছে জানতে চায় আমি কেন সুইচ বন্ধ করিনি। এ নিয়ে সে উচ্চবাচ্য করতে থাকলে তাঁর সঙ্গে আমার কথা-কাটাকাটি হয়। এর বেশি কিছু না।’

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান প্রথম আলোকে বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। আমরা প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদনের কাজ করছি। শিগগিরই বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটির কাছে প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে।’