ধর্ষকের যাবজ্জীবন, জন্ম নেওয়া শিশুর দেখভালের ব্যবস্থা নিতে ডিসিকে নির্দেশ

ঝালকাঠির নলছিটিতে ধর্ষণের দায়ে মো. সোহেল ঘরামী (২৭) নামের এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২-এর বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি সোহেল আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।


আদালত ঝালকাঠির জেলা প্রশাসককে (ডিসি) ধর্ষণের ঘটনায় জন্ম নেওয়া ৫ বছরের মেয়েটির ভরণ-পোষণে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার নথি ও আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার ১৫ বছরের কিশোরীর বাবা-মা ঢাকায় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করেন। নানাবাড়ি নলছিটিতে বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন কিশোরীটি। তখন কিশোরীকে বিয়ে করার জন্য সোহেলকে প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু সোহেল কিছু টাকা দিয়ে ঝামেলা মিটিয়ে ফেলতে মেয়েটির পরিবারকে চাপ দেয়। পরে মেয়েটির বাবা ২০১২ সালের ৩ মার্চ ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১-এর আদালতে সোহেল ও তাঁর মাসহ পাঁচজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে মামলাটি ঝালকাঠির নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-২-এর আদালতে স্থানান্তর হয়।

ওই বছরের ১১ নভেম্বর নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ জেড এম মাসুদুজ্জামান আসামি সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। আদালত ২০১৩ সালের ২১ নভেম্বর সোহেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আ স ম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ধর্ষণের শিকার মেয়েটি তাঁর পাঁচ বছরের মেয়েকে নিয়ে বাবা-মায়ের সংসারে অসহায় অবস্থায় আছে। তাই আদালত শিশুটির ভরণ-পোষণের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঝালকাঠির ডিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী বিদ্যুৎ কুমার চক্রবর্তী বলেন, আসামি সোহেল ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েকে পরবর্তীতে বিয়ে করেছেন। এমনকি সন্তানকেও স্বীকৃতি দিয়েছেন। এ রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।