হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দিনাজপুরে পুকুর নিয়ে বিরোধে মারামারির ঘটনায় ওয়াকিলউদ্দিন মন্ডল নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অপর এক আসামিকে যাবজ্জীবন ও একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। আজ মঙ্গলবার দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. আনোয়ারুল হক এ রায় দেন।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত তিন আসামি হলেন দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলার খয়েরবাড়ি (মির্জাপুর) গ্রামের মো. মোসলেম উদ্দিন(৪৫), একই এলাকার মোস্তাফিজুর রহমান ওরফে বুলবুল ও তাঁর ভাই মো. মামুরুর রশিদ ওরফে মিলন। যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন একই এলাকার সোহেল রানা(২৫)। মামলায় বেকসুর খালাস পেয়েছেন মোছা. মেহেরুন (৩০)। তিনি মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত মো. মোসলেম উদ্দিনের স্ত্রী।

রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর(এপিপি) মো. আজিজুর রহমান ও আসামিপক্ষে মাজহারুল ইসলাম সরকার।

মামলা সূত্রে জানা যায়, বিরামপুর উপজেলার মির্জাপুর খয়েরবাড়ি মৌজার ১ দশমিক ৩৩ শতকের একটি পুকুর দীর্ঘদিন ধরে নিহত ওয়াকিলউদ্দিন মন্ডলের ভগ্নিপতি মনজের আলীর সঙ্গে আসামিদের বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন ২০১১ সালের ২৫ জুন সকালে আসামিরা পুকুরে বেআইনিভাবে মাছ ধরছিল। এ সময় ওয়াকিলউদ্দিন মন্ডল আসামিদের সঙ্গে কথা বলতে গেলে উভয়ের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে আসামিরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে ওয়াকিলউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি আঘাত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন।

এই ঘটনায় ওয়াকিলউদ্দিনের স্ত্রী মোছা. বিলকিছ বানু পরদিন বিরামপুর থানায় ৮জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। বিরামপুর থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুর রাজ্জাক মামলাটি তদন্ত করে আদালতে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলা চলাকালে আসামি মো. ময়েজউদ্দিন মারা গেলে বিচারক তাঁর নাম অভিযোগপত্র থেকে বাদ দেন।