অপপ্রচার ও গুজব প্রতিরোধে দুটি কমিটি কাজ করছে: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ (ফাইল ছবি)

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে অপপ্রচার রুখতে ও গুজব প্রতিরোধে তথ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন দুটি কমিটি কাজ করছে। গুজব প্রতিরোধ ও অবহিতকরণ সম্পর্কে ১৯ সদস্য বিশিষ্ট একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি এবং ১১ সদস্য বিশিষ্ট গুজব প্রতিরোধ অবহিতকরণ সেল রয়েছে।

আজ জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোছাম্মদ শামীমা আক্তার খানমের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি সংসদকে এই তথ্য জানান।

স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সংসদে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ আরও জানান, গুজব প্রতিরোধের চলমান কার্যক্রমের আওতায় ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর থেকে এ যাবৎ গুজব বিষয়ে ১৮টি তথ্য বিবরণী দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতারসহ বিভিন্ন কমিটি এবং বাণিজ্যিক রেডিও থেকে গুজব প্রতিরোধে সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান প্রচার করা হচ্ছে।

সরকারি দলের সদস্য আবদুল লতিফের অপর এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী জানান, চলচ্চিত্রে অশ্লীলতা দূর করতে একটি টাস্কফোর্স নজরদারি করছে।

সরকারি দলের সদস্য নজরুল ইসলাম বাবুর অপর এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, তথ্যের অবাধ প্রবাহ ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪, জাতীয় অনলাইন নীতিমালা ২০১৭ এবং বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় বেতার কেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য নীতিমালা প্রণয়ন করা হয়েছে।

সরকারি দলের সদস্য বেগম আবিদা আনজুমের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী সংসদকে জানান, দেশের ১৮৮টি পত্রিকায় ৮ম ওয়েজবোর্ড রোয়েদাদ বাস্তবায়িত হয়েছে। ইতিমধ্যে ৯ম ওয়েজবোর্ডের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে। সাংবাদিক বান্ধব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশের সাংবাদিকদের কল্যাণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। সরকার এই তহবিল থেকে অসুস্থ, অসচ্ছল ও দুর্ঘটনায় আহত সাংবাদিকদের বিশেষ আর্থিক ও চিকিৎসা সুবিধা প্রদান করছে।

সরকারি দলের সদস্য মোছাম্মদ খালেদা খানমের এক প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী সংসদকে জানান, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পীদের একটি নীতিমালা অনুযায়ী অর্থ মন্ত্রণালয়ে অনুমোদন সাপেক্ষে বিশেষ শ্রেণির অনুষ্ঠানের জন্য দুই হাজার এবং বিভিন্ন শ্রেণি ও ক্যাটাগরি অনুযায়ী সম্মানী প্রদান করা হয়ে থাকে।