টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে 'গোলাগুলিতে' একজন নিহত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরে মাদক ও মানব পাচারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটার দিকে উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী মেরিন ড্রাইভ সড়ক–সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

নিহত ব্যক্তির নাম মোহাম্মদ মোজাহের (৩৫)। তিনি উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী এলাকার হাকিম আলীর ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, গোলাগুলির ঘটনায় পুলিশের তিন সদস্য উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইফতেখারুল ইসলাম, কনস্টেবল মো. মাহফুজ ও মো. সেকান্দার আহত হন। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, পাঁচ রাউন্ড তাজা গুলি, ছয় রাউন্ড খালি খোসা এবং পাঁচ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়েছে।

গোলাগুলির তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। তিনি বলেন, গতকাল রাতে গোপন সংবাদ পেয়ে সাবরাং ইউনিয়নের হারিয়াখালী মেরিন ড্রাইভ সড়ক–সংলগ্ন উপকূলীয় এলাকায় পুলিশের একটি দল মাদক ও মানব পাচারবিরোধী অভিযানে যান। এ সময় অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে এলোপাতাড়ি গুলিবর্ষণ শুরু করে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হন। পুলিশ আত্মরক্ষায় পাল্টা গুলি চালালে অপরাধীরা কৌশলে পালিয়ে যায়।

ওসি বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর ঘটনাস্থল থেকে পুলিশের সদস্যরা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ দেন। কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর জরুরি বিভাগের চিকিৎসক গুলিবিদ্ধ ব্যক্তিকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সুব্রত দেব বলেন, পুলিশ রাতে এক ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। ওই ব্যক্তির শরীরে তিনটি গুলির চিহ্ন ছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি জানান, ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।