পুলিশ কর্মকর্তার মেয়েকে সুবিধা, কেন্দ্রসচিবকে অব্যাহতি

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক অতিরিক্ত কমিশনারের এসএসসি পরীক্ষা দেওয়া মেয়েকে বাড়তি সুবিধা দেওয়ার অভিযোগে কেন্দ্রসচিবকে অব্যাহতি দিয়েছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ শুক্রবার এসব পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

নগরের কাজেম আলী স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে নয়টি বিষয়ের পরীক্ষায় অনিয়মের এই ঘটনা ঘটে। পরীক্ষার দিন নির্ধারিত পর্যবেক্ষককে বাদ দিয়ে ওই ছাত্রীর কক্ষে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষককে পর্যবেক্ষক হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছিল। পর্যবেক্ষক উত্তরপত্র লেখার ক্ষেত্রে ওই ছাত্রীকে সহায়তা দিতেন বলে অভিযোগ। একই সঙ্গে পরীক্ষা চলার সময় কক্ষে ঢুকে পুলিশের কোনো কোনো উপপরিদর্শক ওই ছাত্রীর খোঁজখবর নিতেন।

কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, অভিভাবকদের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে গত সোমবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে একটি দল ওই কেন্দ্রে ঝটিকা সফরে যায়। তারা অভিযোগের প্রমাণও পায়। পরে কেন্দ্রসচিব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীনকে ওই দিনই মৌখিকভাবে সতর্ক করে দেয় তারা। পরে ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা কক্ষ পরিবর্তন করে দেওয়া হয়।

শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, কলেজের প্রধান শিক্ষক মো. গিয়াস উদ্দিনের পরিবর্তে সহকারী কেন্দ্রসচিব মোকাম্মেল হোসেনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটিতে আছেন বিদ্যালয় পরিদর্শক বিপ্লব গাঙ্গুলী, বিদ্যালয় উপপরিদর্শক মো. আবুল বাসার ও সহপরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মো. আলী আকবর।

বিষয়গুলো নিশ্চিত করে শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রদীপ চক্রবর্তী প্রথম আলোকে বলেন, কমিটিকে সাত দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে (পরীক্ষার্থীর বাবা) প্রথম আলোর পক্ষ থেকে একাধিকবার ফোন করা হয়। কিন্তু তিনি কলগুলো কেটে দেন।

চট্টগ্রাম নগর পুলিশের কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। এ বিষয়ে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড তদন্ত করছে। তাদের তদন্তে যদি অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে বিধি মোতাবেক (ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে) ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’