বান্দরবানে দোকানে ঢুকে মুখোশধারীদের এলোপাতাড়ি গুলি

বান্দরবানের সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নের জামছড়িমুখপাড়ার দোকানে ঢুকে আজ শনিবার সন্ধ্যা পৌনে সাতটার দিকে একদল অস্ত্রধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে একজন নিহত ও পাঁচজন আহত হয়েছে। গুলির ঘটনায় আতঙ্কে মারা গেছেন এক বৃদ্ধ। অস্ত্রধারীরা ছিল মুখোশধারী ও কালো পোশাক পরা।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানিয়েছেন, জেলা সদর থেকে ১০ কিলোমিটার দূরে হানসামাপাড়া-বাঘমারা বাজার সড়কে জামছড়িমুখপাড়ার দোকানে ঢুকে ১০ থেকে ১২ জন অস্ত্রধারী এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়ে। এতে রাজবিলা ইউনিয়নের ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বা চ নু মারমা (৫০) নামে একজন নিহত হন। আহত হন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য হ্লামংসিং মারমা, কৃষক ক্যপ্রু অং মারমা, প্রতিবন্ধী রেদাকসে মারমা, মংক্যচিং ও সাবেক ইউপি সদস্য উচথোয়াই মারমা। এলোপাতাড়ি গুলির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পাকই মারমা নামের (৬১) এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অস্ত্রধারীরা মুখোশধারী ও কালো পোশাকে থাকায় তাদের চেনা যায়নি।

বান্দরবান সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ কে এম জাহাঙ্গীর ঘটনাস্থল থেকে জানান, সন্ত্রাসী দলটি দোকানে ঢুকে কাউকে কিছু না বলে গুলি ছোড়ে। এরপর তারা পালিয়ে যায়। এ জন্য তাদের পরিচয় শনাক্ত করা যায়নি। ঘটনাস্থলে একজন নিহত ও হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এক বৃদ্ধর মৃত্যু হয়েছে।

বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহীদুল ইসলাম চৌধুরী জানান, আহত পাঁচজনকে বান্দরবান সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

২০১৬ সালের ১৩ জুন রাতে জামছড়িমুখপাড়া থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মংপু মারমাকে একদল অস্ত্রধারী বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর আর তাঁর হদিস পাওয়া যায়নি। আওয়ামী লীগ মংপু মারমা অপহরণ করে গুম করার জন্য জনসংহতি সমিতিকে (জেএসএস) দায়ী করে। জেএসএসের জেলা শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়। তবে জেএসএস বরাবই মংপু মারমা অপহরণ ও গুমের ঘটনা অস্বীকার করেছে।