টেকনাফে মানবপাচার মামলার আসামি বন্দুকযুদ্ধে নিহত: পুলিশ

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ একজন নিহত হয়েছেন। তাঁর নাম আবদুস সালাম (৩০)। পুলিশের দাবি, সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলার আসামি ছিলেন তিনি। তাঁর বাড়ি উপজেলার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকার জুম্মাপাড়ায়।

গতকাল শনিবার রাত ১২টার দিকে উপজেলার নোয়াখালীয়াপাড়া এলাকার জুম্মাপাড়ার আবদুস সালামের বসতবাড়ির কাছের একটি পাহাড়ের পাদদেশে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। প্রথম আলোকে এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ।

পুলিশের দাবি, ১২ ফেব্রুয়ারি সেন্টমার্টিন দ্বীপের কাছাকাছি ১৩৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছিল। ওই ঘটনায় ২১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। জীবিত উদ্ধার করা হয় ৭৩ জনকে। ওই ঘটনায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। ওই মামলায় আটজনকে আটক করা হয়। মামলার প্রধান আসামি ছিলেন আবদুস সালাম। ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি, ৬টি কার্তুজ ও ৯টি গুলির খালি খোসা উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে মানবপাচারের তিনটি মামলা আছে।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, উপজেলার বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ গোপন সূত্রে জানতে পারে যে সালামসহ কয়েকজন পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থান নিয়েছেন। পুলিশ তাদের ধরতে অভিযানে গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাঁরা গুলি ছোড়ে। এ সময় সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) হাবিবউল্লাহ, কনস্টেবল সানি বড়ুয়া ও মোহাম্মদ দেলোয়ার আহত হন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সালামকে পাওয়া যায়। অন্য আসামিরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যান। আহত সালাম ও তিন পুলিশ সদস্যকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। পরে সালামকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক জাকারিয়া মাহমুদ প্রথম আলোকে বলেন, রাতে পুলিশ চারজনকে হাসপাতালে নিয়ে আসে। এর মধ্যে সাধারণ পোশাকে থাকা এক ব্যক্তির শরীরের বিভিন্ন অংশে তিনটি গুলি লেগেছিল। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।

ওসি প্রদীপ কুমার দাশ বলেন, সালামকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর লাশ কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।