দুই বিশ্ববিদ্যালয়কে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি ও চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটিকে ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করেছেন আপিল বিভাগ।

বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ আজ রোববার এই আদেশ দেন।

হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের করা আবেদন নিষ্পত্তি করে এই আদেশ দেওয়া হয়।

জরিমানার অর্থ অবিলম্বে বার কাউন্সিলের অনুকূলে জমা দিতে বিশ্ববিদ্যালয় দুটিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অর্থ জমা দেওয়া সাপেক্ষে ওই দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থীরা বার কাউন্সিলের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন বার কাউন্সিলের আইনজীবী এফ এম কফিল উদ্দিন।

২০১৪ সালে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সিদ্ধান্ত অনুসারে, এলএলবি কোর্সের প্রতি সেমিস্টারে ৫০ জনের বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করা যাবে না।

তবে এই সিদ্ধান্ত অনুসরণ না হওয়ায় আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অংশ নিতে বার কাউন্সিলে আবেদন করে বিফল হন বিশ্ববিদ্যালয় দুটির কিছু শিক্ষার্থী। এ অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিতে ওই শিক্ষার্থীরা হাইকোর্টে রিট করেন।

সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ১৭ শিক্ষার্থীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ২৮ অক্টোবর হাইকোর্ট রুল দিয়ে রেজিস্ট্রেশন কার্ড দিতে ও পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দিতে বলেন।

চট্টগ্রামের ইসলামিক ইউনিভার্সিটির ৪৩ শিক্ষার্থীর করা রিটের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছরের ৫ ডিসেম্বর হাইকোর্ট রিট আবেদনকারী শিক্ষার্থীদের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্তির পরীক্ষায় অংশ গ্রহণের সুযোগ দিতে রায় দেন।

হাইকোর্টের ওই দুই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল আপিল বিভাগে আবেদন করে। যার ওপর আজ শুনানি হয়।

আদালতে বার কাউন্সিলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ ওয়াই মসিউজ্জামান। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী এস এম কফিল উদ্দিন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রামের ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। আর সিলেটের মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ বি এম আলতাফ হোসেন।