কুষ্টিয়ায় হত্যার দায়ে ১ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১১ জনের যাবজ্জীবন

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

কুষ্টিয়ায় এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে একজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং ১১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়া দায়রা জজ আদালতের বিচারক অরূপ কুমার গোস্বামী এ রায় ঘোষণা করেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তি হলেন কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামের জগো (৩০)। তবে তিনি পলাতক।

যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ১১ আসামি হলেন সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের ইলাম মণ্ডল (৩২), বৃত্তিপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম (৩০) ও ইউনুচ (৩৫), গজনবীপুর গ্রামের বাদশা (৩৫), দেড়িপাড়া গ্রামের আলিম (৩৮), বারুইপাড়া গ্রামের আমিরুল ইসলাম (৩৫), রহমত (২৬), মিজানুর রহমান (৩৫), আলী হোসেন (২৫) ও আসাদুল (২১) এবং উজানগ্রামের বাবলু (৪০)। তাঁদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়। তাঁদের মধ্যে শহিদুল ইসলাম, আলিম, বাবলু, রহমত, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন ও ইউনুচ পলাতক।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০১২ সালের ২৪ অক্টোবর বারুইপাড়া গ্রামে একটি সেতুর রেলিংয়ের ওপর দেহবিহীন মাথা পাওয়া যায়। সেতু থেকে কিছুটা দূরে নালার ভেতর দেহ পড়ে ছিল। স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় দেহবিহীন মাথাটি এবং মাথাবিহীন দেহটি উদ্ধার করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানা-পুলিশ নিহত ব্যক্তির পরিচয় উদ্‌ঘাটনের চেষ্টা করে। পুলিশ জানতে পারে লাশটি মিরপুর উপজেলার স্বরুপদহ গ্রামের ফরিদুল ইসলামের (৩২)। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।

থানার তৎকালীন উপরিদর্শক (এসআই) নূরুজ্জামান মল্লিক থানায় হত্যা মামলা করেন। পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী কামাল হোসেন মামলাটি আংশিক তদন্ত করেন। পরবর্তীতে মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় বদলি হলে এসআই মোরাদুল ইসলাম ও খাদেমুল ইসলাম তদন্ত করেন। সর্বশেষ এসআই মনিরুল ইসলাম তদন্ত করে ২০১৬ সালের ২০ জুন ইলাম মণ্ডল, শহিদুল ইসলাম, বাদশা,আলিম, আমিরুল ইসলাম, বাবলু, রহমত, মিজানুর রহমান, আলী হোসেন, আসাদুল, জগো ও ইউনুচদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন।