বিদ্যুৎ বিলের কপি বাংলায় করার দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি

বিদ্যুৎ বিলের কপি বাংলা ভাষায় চাই—এমন দাবিতে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন গোলাম কুদ্দুস। ছবি: প্রথম আলো
বিদ্যুৎ বিলের কপি বাংলা ভাষায় চাই—এমন দাবিতে সোমবার দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন গোলাম কুদ্দুস। ছবি: প্রথম আলো

‘বিদ্যুৎ বিলের কপি বাংলা ভাষায় চাই’— এমন দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন গোলাম কুদ্দুস ওরফে আইয়ুব আলী নামের এক ব্যক্তি। আজ সোমবার দুপুর ১২টা থেকে নীলফামারী জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে দাবি সম্মিলিত ব্যানার টানিয়ে তার নিচে বসে ঘণ্টাব্যাপী ওই কর্মসূচি পালন করেন তিনি। পরে একই দাবিতে তিনি জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন।

গোলাম কুদ্দুস ডোমার উপজেলা বিদ্যুৎ গ্রাহক সমিতির সভাপতি। তিনি বলেন, বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন সর্বস্তরের সাধারণ মানুষ। নীলফামারী জেলায় পিডিবির অধীনে বিদ্যুৎ বিতরণ ও বিপণন কাজে নিয়োজিত আছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। তারা বিদ্যুৎ গ্রাহকদের বিল প্রদান করছেন ইংরেজি ভাষায়। অনেক গ্রাহক ইংরেজি বুঝতে না পেরে নানা বিড়ম্বনায় পড়ছেন। এই বিড়ম্বনা এড়াতে বাংলা ভাষায় বিদ্যুৎ বিল প্রদানের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তিনি।

ভাষার মাসে বাংলায় বিদ্যুৎ বিলের দাবিতে গোলাম কুদ্দুস আইয়ুবের একক অবস্থান কর্মসূচি নজর কারে ওই কার্যালয়ে আসা অনেকের।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে গোলাম কুদ্দুস বলেন,ভাষার মাসে ইংরেজির পরিবর্তে বাংলায় বিদ্যুৎ বিল প্রদানের জোর দাবি জানান।

অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন গোলাম কুদ্দুস। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার নাহিদ হাসান। ছবি: প্রথম আলো
অবস্থান কর্মসূচি শেষে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি দেন গোলাম কুদ্দুস। স্মারকলিপি গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক খন্দকার নাহিদ হাসান। ছবি: প্রথম আলো

জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আগত জলঢাকা উপজেলার বালাগ্রামের মো. মোনায়েম হোসেন (৪০) ওই দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করে বলেন, ‘গ্রামের বেশির ভাগ বিদ্যুৎ গ্রাহক লেখাপড়া কম জানেন। ইংরেজি ভাষার ওই বিল বুঝতে না পেরে তারা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। বাংলায় হলে হয়রানির অবসান হবে।’

একই মত পোষণ করেন জেলা সদরের কাজিরহাট গ্রামের কৃষক ইলিয়াছ হোসেন (৪৮), আজিজার রহমান (৭০), নাসির উদ্দিন (৭০), হাড়োয়া গ্রামের সফিয়ার রহমানসহ (৬২) অনেকে।

এ বিষয়ে মোবাইলে কথা বললে দাবির যৌক্তিকতা স্বীকার করে নীলফামারী নেসকোর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নওশাদ আলম বলেন, ‘বিলটি ইংরেজির পরিবর্তে বাংলা ভাষায় হলে সকল গ্রাহকের সুবিধা হবে। বিষয়টি আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব।’

স্মারকলিপিটি জেলা প্রশাসকের পক্ষে গ্রহণ করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) খন্দকার নাহিদ হাসান। তিনি বলেন, ‘এটি একটি যৌক্তিক এবং সময় উপযোগী দাবি। দাবিটি বাস্তবায়নে নেসকোর কাছে স্মারকলিপিটি পাঠিয়ে দেওয়া হবে।’