অপরাধ অনুযায়ী পাপিয়ার বিচার হবে: কাদের

ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি
ওবায়দুল কাদের। ফাইল ছবি

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, অপরাধী যে দলেরই হোক, অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। অপরাধ অনুযায়ী শামিমা নূর পাপিয়ার বিচার হবে।

মন্ত্রী বলেন, ‘যে–ই অপরাধে যুক্ত হবে, দলীয় কিংবা যে পরিচয় থাকুক, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। সরকারের সায় রয়েছে বলেই এসব অপরাধীদের ধরা হচ্ছে। এ বিষয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি সরকারের কঠোর নির্দেশনা রয়েছে। অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। সে যে দলেরই হোক।’

আজ সোমবার সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

শনিবার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাপিয়া (২৮), তাঁর স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন (৩৮) ও তাঁদের সহযোগী সাব্বির খন্দকার (২৯) ও শেখ তায়্যিবা (২২) গ্রেপ্তার হন। র‍্যাবের দাবি, তাঁরা পালিয়ে যাচ্ছিলেন।
গ্রেপ্তারের পর গতকালই পাপিয়াকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করে আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুব মহিলা লীগ। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামিমা নূরকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলো।

র‌্যাব জানায়, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, অনৈতিক কর্মকাণ্ড, জাল নোট সরবরাহ, রাজস্ব ফাঁকি, অর্থ পাচারসহ নানা অপরাধের সঙ্গে জড়িত থাকায় তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গত ১২ অক্টোবর থেকে চলতি বছরের ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদে এই দম্পতি পাঁচ তারকা হোটেলের কয়েকটি বিলাসবহুল কক্ষে অবস্থান করেন। এ জন্য তাঁরা পরিশোধ করেন ৮১ লাখ ৪২ হাজার টাকা। র‌্যাবের দাবি, এই অর্থের উৎস সম্পর্কে সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি এই দম্পতি। আজ শামীমা ও তাঁর স্বামীর ১৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

শামীমা নূরকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘অপরাধ অনুযায়ী অপরাধী শাস্তি পাবে। সরকার দলের হোক কিংবা বাইরের হোক, কোনো অপরাধীকে পার পেয়ে যেতে দেয়নি। সব অপরাধীকেই বিচারের আওতায় আনা হয়েছে। পাপিয়ার পরিচয় যেটাই হোক, অপরাধী হিসেবে এবং অপরাধ অনুযায়ী বিচার হবে।’

শামীমার পেছনে যাঁরা আছেন, তাঁদের খুঁজে বের করা হবে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অপরাধের বিচার করতে গেলে তো পেছনের লোক খোঁজা হয়, হবে না কেন? তারা সামনে আসবে না, এটা মনে করার তো কোনো কারণ নেই। আমাদের সরকারের আমলে এ ধরনের বিচারপ্রক্রিয়া চলেছে। বিষয়টি যখন আদালতে যাবে, তখন তো সবকিছুই আসবে।’

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অপরাধের জন্য অপরাধীদের গ্রেপ্তার করছে এবং শাস্তি দিচ্ছে। এ ব্যাপারে সরকারের সায় এবং জিরো টলারেন্স নীতি রয়েছে বলেই আজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যবস্থা নিচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সেই স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। অপরাধ-অন্যায় যারাই করবে, তাদের যেটাই পরিচয় হোক, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। সেই অনুযায়ী অ্যাকশন নেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: