রাবির ইতিহাস বিভাগের একুশের ব্যানারেও বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি

ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের সামনে প্রভাতফেরির আগে ব্যানার হাতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত
ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের সামনে প্রভাতফেরির আগে ব্যানার হাতে ইতিহাস বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত বিভাগের পর ইতিহাস বিভাগের একুশে ফেব্রুয়ারির প্রভাতফেরির ব্যানারেও ভাষাশহীদদের জায়গায় বীরশ্রেষ্ঠদের ছবির ব্যবহার দেখা গেছে। এই কারণে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে গতকাল রোববার সংগীত বিভাগের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করে গণমাধ্যমে বিবৃতি দেওয়া হয়।

এই সমালোচনার মধ্যেই আজ সোমবার ইতিহাস বিভাগের ব্যানারেও ভাষাশহীদদের পরিবর্তে মুক্তিযুদ্ধের বীরশ্রেষ্ঠদের ছবি থাকার বিষয়টি প্রকাশ পায়।

ইতিহাস বিভাগের ব্যানারের ওপরে লেখা, ‘অমর ২১শে ফেব্রুয়ারি’। এর নিচে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সকল ভাষা শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি’। ব্যানারের ডান দিকে শহীদ মিনারের প্রতিকৃতির ওপর লেখা, ‘মোদের গরব, মোদের আশা, আ-মরি বাংলা ভাষা’। ব্যানারের বাঁ দিকে রয়েছে সাত বীরশ্রেষ্ঠর ছবি।

বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে আটটার দিকে ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ভবনের সামনে থেকে পুষ্পস্তবক ও ব্যানার নিয়ে ইতিহাস বিভাগের প্রভাতফেরি বের হয়। প্রভাতফেরিতে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মর্ত্তুজা খালেদ, অধ্যাপক চিত্তরঞ্জন মিশ্র, সহকারী অধ্যাপক গোলাম সারওয়ার, হেলাল উদ্দিন প্রমুখ শতাধিক শিক্ষার্থী অংশ নেন। প্রভাতফেরি থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

ব্যানার হাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রভাতফেরি। ছবি: সংগৃহীত
ব্যানার হাতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রভাতফেরি। ছবি: সংগৃহীত

ব্যানারের বিষয়ে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মর্ত্তুজা খালেদ বলেন, ‘বিভাগের দুজন শিক্ষার্থীকে ব্যানার তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ব্যানারের ডিজাইনারের ভুলে হয়তো এমনটি হয়েছে।’ ব্যানারে অসংগতিপূর্ণ ছবির ব্যবহার কেউ খেয়াল করেছিলেন কি না, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেই সময়ে বিষয়টি আমাদের কারও নজরে পড়েনি।’