করোনাভাইরাস সন্দেহে চীনফেরত শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে ভর্তি

করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি
করোনাভাইরাস। প্রতীকী ছবি

ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত চীনফেরত এক বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থীকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য খোলা হাসপাতালের আইসোলেশন কক্ষে মেডিসিন বিভাগের পরামর্শক আবুল হোসেনের তত্ত্বাবধানে গতকাল রোববার থেকে তিনি চিকিৎসাধীন আছেন।

আবুল হোসেন বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত সন্দেহে ওই শিক্ষার্থী চিকিৎসা নিতে আসায় তাঁকে আইসোলেশন কক্ষে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। তবে স্থানীয়ভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষায় করোনাভাইরাসের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, রোগের ইতিহাস অনুযায়ী টনসিলের প্রদাহ সমস্যায় ভুগছেন। সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত তাঁকে হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শামীম কবির প্রথম আলোকে বলেন, চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র গত ৩১ জানুয়ারি চীন থেকে দেশে ফেরেন। বিমানবন্দরে পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে ঠান্ডাজনিত সমস্যা দেখা দিলে প্রথমে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরবর্তী সময়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় শিক্ষার্থীর বাবা ছেলেকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করান। তিনি আরও বলেন, ‘ওই শিক্ষার্থীর রোগের ধরন দেখে আমরা নিশ্চিত যে তিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নন। তিন বছর ধরে টনসিলের প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগছেন। মাঝেমধ্যেই সমস্যা দেখা দেয় এবং চিকিৎসার পর সুস্থ হন।’

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শিক্ষার্থী দাবি করেছেন, গত ৩১ জানুয়ারি যখন দেশে ফেরেন, তখন পুরোপুরি সুস্থ ছিলেন। তিনি বলেন, ‘২০ ফেব্রুয়ারি গলাতে হালকা ব্যথা হলে আলমডাঙ্গায় ডাক্তারের কাছে যাই। অবস্থার উন্নতি না হলে লোকজন করোনাভাইরাস হয়েছে কি না, সন্দেহ করতে থাকে। সন্দেহ কাটাতে এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছি।’