অর্থ পাচার মামলায় সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রিমান্ডে

তারেকুজ্জামান রাজীব। ছবি: সংগৃহীত
তারেকুজ্জামান রাজীব। ছবি: সংগৃহীত

অর্থ পাচার মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর তারেকুজ্জামান রাজিবকে দুই দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এই আদেশ দেন।

পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তারেকুজ্জামানের বিরুদ্ধে আদালত এই রিমান্ড মঞ্জুর করেন। সিআইডি তাঁর বিরুদ্ধে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল।

চাঁদাবাজি, প্রতারণা, অবৈধ অস্ত্র, মাদক ব্যবসাসহ সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে ১৮ কোটি ৪০ লাখ ২৭ হাজার ১৯২ টাকা অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ এনে ১২ ফেব্রুয়ারি তারেকুজ্জামান রাজিবের বিরুদ্ধে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করে সিআইডি। রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গত বছরের ২০ অক্টোবর গ্রেপ্তার হন তারেকুজ্জামান রাজিব। তাঁর বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক ও দুর্নীতির পৃথক আরও তিনটি মামলা রয়েছে।

ঢাকার আদালতকে প্রতিবেদন দিয়ে সিআইডি বলেছে, তারেকুজ্জামান রাজিব ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে, চাঁদাবাজি এবং সংঘবদ্ধ অপরাধের মাধ্যমে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড, মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ চৌরাস্তা থেকে স্লুইসগেট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে ফুটপাত, সরকারি জমির ওপর অবৈধ দোকান, টেম্পোস্ট্যান্ড অটোরিকশা-ইজিবাইক থেকে প্রতিদিন চাঁদা তুলতেন। তারেকুজ্জামান রাজিব অন্য আসামিদের সহযোগিতায় ঢাকা উদ্যান, চাঁদ উদ্যান, নবীনগর এলাকায় অটোরিকশা চলার জন্য প্রতি মাসে চাঁদা তুলতেন। পাশাপাশি ঢাকা উদ্যান এলাকায় অনিষ্কণ্টক জমি জোর করে দখল এবং কাউন্সিলর অফিসে ভুক্তভোগীদের ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বল্প মূল্যে জমি বিক্রি করার জন্য বাধ্য করতেন। কাউন্সিলর নির্বাচিত হওয়ার পর চার বছর ধরে তারেকুজ্জামান রাজিব মোহাম্মদপুরের বেড়িবাঁধ এলাকায় প্রতিবছর কোরবানির পশুর হাটের টেন্ডার নিয়ন্ত্রণসহ প্রকাশ্যে চাঁদাবাজিতে লিপ্ত ছিলেন।

সিআইডির প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০১৫ সালের ১ জুন থেকে গত বছরের ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময় অজ্ঞাতনামা ১০ থেকে ১২ জনের সহযোগিতায় সংঘবদ্ধভাবে চাঁদাবাজি, গরুর হাটের টেন্ডারবাজি, অবৈধ মাদক ব্যবসা, অপরাধমূলক বিশ্বাসভঙ্গ, প্রতারণা করে অর্থ আত্মসাৎ, অস্ত্রের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে বাড়ি, ফ্ল্যাট, জমি দখল, নামে-বেনামে প্রতিষ্ঠান চালু করে বিভিন্ন ব্যাংকে অর্থ স্থানান্তর করেছেন। অপরাধের মাধ্যমে আয় করা বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস সম্পর্কে জানার জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি।

মামলার এজাহারে বলা হয়, তারেকুজ্জামান কাউন্সিলর পদে দায়িত্ব নেওয়ার পর নামিরা এন্টারপ্রাইজ নামের একটি প্রতিষ্ঠানের আড়ালে জমি দখল ও বিক্রয় করে আসছিলেন। শ্যামলী লিমিটেডের পরিচালক এবং সিলিকন হাউজিং লিমিটেডের সাড়ে পাঁচ হাজার শেয়ারের মালিক তারেকুজ্জামান।