উচ্চ শ্রেণিতে উঠতে দুদককে ৭ নম্বর বেশি পেতে হবে

রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। মাইডাস সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন
রাজধানীর মাইডাস সেন্টারে টিআইবি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন দুর্নীতিবিরোধী এই সংস্থার নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। মাইডাস সেন্টার, ধানমন্ডি, ঢাকা, ২৫ ফেব্রুয়ারি। ছবি: সাবিনা ইয়াসমিন

দুর্নীতি দমন প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) মধ্যম মানের। সংস্থাটির স্কোর ১০০–তে ৬০। আন্তর্জাতিক মান হিসেবে এটা মধ্যম শ্রেণির। উচ্চ শ্রেণির নম্বর শুরু ৬৭ থেকে। দুদককে মধ্যম শ্রেণি থেকে উচ্চ শ্রেণিতে যেতে তাই ভবিষ্যতে আর মাত্র ৭ নম্বর বাড়াতে হবে।

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) একটি ফলোআপ গবেষণা থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে। ধানমন্ডির মাইডাস সেন্টারে আজ মঙ্গলবার সকালে এই গবেষণার ফলাফল জানানো হয়। টিআইবি একে গুণগত গবেষণা বলছে। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের তথ্য–উপাত্ত নিয়ে এই গবেষণা করা হয়েছে।

গবেষণায় দুদকের ৫০টি নির্দেশক বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে ২১টিতে দুদক উচ্চ শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। ১৮টি মধ্যম ও ১১টি নিম্ন শ্রেণিভুক্ত হয়েছে। দুদকের অনুসন্ধান, তদন্ত ও মামলা দায়ের এই নির্দেশক সবচেয়ে কম নম্বর পেয়েছে। অন্যদিকে প্রতিরোধমূলক, শিক্ষামূলক ও আউটরিচ কার্যক্রমে দুদক সবচেয়ে বেশি নম্বর পেয়েছে। এরপর বেশি নম্বর পেয়েছে স্বাধীনতা ও মর্যাদা নির্দেশকে। স্বাধীনতার প্রশ্নে বলা হয়েছে, দুদক সরকারবিরোধীদের ওপর হয়রানিমূলক কাজ করে। অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের প্রতি সংস্থাটি নমনীয়।

দুদকের তদন্ত ও মামলা দায়ের প্রশ্নে বলা হয়েছে, সম্পদের মালিকানার অবৈধ পরিবর্তন, ব্যাংক খাত ও সম্পদ আত্মসাতের বিষয়ে দুদকের ক্ষমতা প্রয়োগের ঘাটতি আছে। বিশেষ করে জেলা পর্যায়ে প্যানেল আইনজীবীদের মধ্যে ঘাটতি আছে।

গবেষণার সময়ে দুদকে মোট ৪৭ হাজার ৫৩৯টি অভিযোগ আছে। এর মধ্যে ৩ হাজার ২০৯টি তদন্তের জন্য আমলে নেওয়া হয়, যা মোট অভিযোগের ৬ দশমিক ৭৫ শতাংশ। আন্তর্জাতিক মান এখানে ৬৬ শতাংশ।

অনুষ্ঠানে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কাগজে-কলমে দুদককে স্বাধীন বলা হলেও বাস্তবে স্বাধীন বলা যায় না। সরকার যতটুকু চায়, দুদক ততটুকু স্বাধীন থাকে। তা ছাড়া রাজনৈতিক কারণে দুদক অনেক কিছু করতে পারে না। দুদকের সৎ সাহস ও নেতৃত্বের ঘাটতি আছে।