ধর্ষণের শিকার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী অন্তঃসত্ত্বা
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলায় এক বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী নারী (২৬) ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ঘটনার ছয় মাস পর একজনকে আসামি করে গতকাল সোমবার রাতে চুয়াডাঙ্গা থানায় মামলা করেছেন ওই নারীর ভাই।
এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান। তিনি বলেন, ‘এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তারে পুলিশের দুটি দল কাজ করছে।’
মামলার আসামির নাম মোজাম্মেল বিশ্বাস (৩৬)।
মামলাটিতে সহায়তা করছে নাগরিক সংগঠন লোকমোর্চা। মামলার সময় লোকমোর্চার জেলা সভাপতি সাবেক পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) আলমগীর হোসেন, সচিব কানিজ সুলতানা, নির্বাহী সদস্য শরিফুন নাহার, সদর উপজেলা লোকমোর্চার সাধারণ সম্পাদক পারভীন লাইলা উপস্থিত ছিলেন।
আলমগীর হোসেন জানান, আলোচিত মামলায় বিনা মূল্যে আইনগত সহায়তা দেবে লোকমোর্চা।
মামলার এজাহারে বলা হয়, গত বছরের ১৭ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী ওই নারী বাড়ির পেছনে মাঠে মাটি কাটছিলেন। ওই সময় মোজাম্মেল বিশ্বাস তাঁকে কৌশলে ডেকে নিয়ে গ্রামে কেরু কোম্পানির একটি আখখেতে নিয়ে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের পর মোজাম্মেল বিশ্বাস ওই নারীকে হুমকি দেন, কাউকে কিছু বললে তাঁকে (নারীকে) খুন করে ফেলবেন। সেই ভয়ে ওই নারী পরিবারের কাউকে কিছু জানাননি।
বেশ কিছুদিন ধরে ওই নারী অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁর শারীরিক আকৃতির পরিবর্তন ঘটলে বাড়ির লোকজনকে ঘটনা খুলে বলেন। বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি দর্শনার একটি রোগ নির্ণয় কেন্দ্রে নিয়ে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে নিশ্চিত হওয়া যায় যে তাঁর গর্ভে ২৪ সপ্তাহের বেশি বয়সী সন্তান আছে।
আল্ট্রাসনোগ্রাম করার পর ওই নারীর ভাই এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে মোজাম্মেল বিশ্বাসের কাছে জানতে চাইলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। সে সময় মোজাম্মেলের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাই মোজাম্মেলের সঙ্গে ওই নারীর বিয়ের প্রতিশ্রুতি দেন।
ওই নারীর ভাই জানান, বিয়ের জন্য মোজাম্মেল প্রথমে কিছুদিন সময় চান। তবে পরবর্তী সময়ে বিয়ে করবেন না বলে জানান এবং গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে হুমকি দিতে থাকেন। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের মাধ্যমে আপস-মীমাংসার চেষ্টা ব্যর্থ হওয়ায় থানায় এসে এজাহার করতে দেরি হয়েছে।
মামলার বিষয়ে জানতে মোজাম্মেল বিশ্বাসের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।