সালমান শাহর অপমৃত্যুর মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে জমা

সালমান শাহ
সালমান শাহ

চিত্রনায়ক সালমান শাহের অপমৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ঢাকার আদালতে জমা দিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের সংশ্লিষ্ট শাখায় ৬০০ পৃষ্ঠার অভিযোগপত্রটি জমা দেন।

আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা (জিআরও) উপপরিদর্শক আনিছুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল বুধবার এই তদন্ত প্রতিবেদন আদালতের কাছে উপস্থাপন করা হবে।

পিবিআইয়ের তদন্ত প্রতিবেদন বলছে, চিত্রনায়ক সালমান শাহকে খুন করা হয়নি। তিনি আত্মহত্যা করেছিলেন। এই আত্মহত্যার পেছনে পাঁচটি কারণ ছিল। প্রথম এবং প্রধান কারণ, সালমান শাহ ও চিত্রনায়িকা শাবনূরের মধ্যকার ‘অতি-অন্তরঙ্গতা’। এ নিয়ে সালমানের স্ত্রী সামিরার সঙ্গে দাম্পত্য কলহ, অতি আবেগ থেকে একাধিকবার আত্মহত্যার চেষ্টা, মায়ের সঙ্গে অভিমান এবং সন্তান না হওয়ায় দাম্পত্য জীবনে অপূর্ণতা বোধ।

১৯৯৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর মারা যান চিত্রনায়ক চৌধুরী মোহাম্মদ শাহরিয়ার ইমন ওরফে সালমান শাহ। এ ঘটনায় অপমৃত্যুর মামলা করেন তাঁর বাবা কমরউদ্দিন আহমদ চৌধুরী। এরপর ১৯৯৭ সালের ৩ নভেম্বর আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয় পুলিশের অপরাধ ও তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ওই প্রতিবেদনেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘আত্মহত্যা’ বলে উল্লেখ করা হয়। সিআইডির প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে সালমানের বাবা ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে রিভিশন আবেদন করেন। পরে ২০০৩ সালের ১৯ মে মামলাটি বিচার বিভাগীয় তদন্তে পাঠানো হয়। এই আদেশের প্রায় ১২ বছর পর ২০১৪ সালের ৩ আগস্ট বিচার বিভাগীয় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। তাতেও সালমান শাহর মৃত্যুকে ‘অপমৃত্যু’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়। ২০১৫ সালের ১৯ এপ্রিল মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবার রিভিশন আবেদন করেন সালমান শাহর মা নীলা চৌধুরী। ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন।