জলাবদ্ধতা দায় এড়াতে পারি না: স্থানীয় সরকারমন্ত্রী

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো
স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম। ছবি: প্রথম আলো

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘একটা দেশ স্বাধীন হওয়ার এত বছর পরেও জলাবদ্ধতা দায় এড়াতে পারি না। জনগণ অজুহাত শুনতে চায় না। অজুহাত শুনতে না চাওয়ার যৌক্তিক কারণও রয়েছে। বক্স কালভার্টের ভেতর হাজার হাজার টন বর্জ্য জমে আছে। খালগুলোতে প্রবাহ নেই, নদীগুলো দখল হয়ে গেছে।’

ঢাকা ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রয়োজনীয় কর্মপন্থা নির্ধারণ করতে আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, ওয়াসার কর্মকর্তারা আসন্ন বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতা নিরসনে তাদের প্রস্তুতি তুলে ধরেন।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, এবারের বর্ষা মৌসুমে যেন জলাবদ্ধতার কারণে অস্বস্তিকর অবস্থাতে পরতে না হয়। গতবার বলেছিলাম, নতুন দায়িত্ব নিয়েছি। এবার আর যেন একই কথা বলতে না হয়। তিনি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের খাল দখলমুক্ত করাসহ স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা নিরসনে উদ্যোগ নিতে দুটি মেগা প্রকল্প নেওয়ার নির্দেশ দেন।

সভায় ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন তার আওতাধীন ১১টি এলাকায় জলাবদ্ধতার শঙ্কা রয়েছে বলে জানায়। এগুলো সমাধানের করণীয় তুলে ধরেন সংস্থাটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী শরীফ উদ্দীন। তিনি বলেন, বিমানবন্দর সড়কের আর্মি স্টেডিয়াম থেকে বনানী ২৭ নম্বর পর্যন্ত সড়কের পশ্চিম পাশে প্রাকৃতিক জলাশয় ছিল। এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে কর্তৃপক্ষ এই জলাশয়টি মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলেছে।

গত বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতে সচিবালয়ে এক হাঁটু পানি জমেছে বলে মন্তব্য করেন সভার সঞ্চালক স্থানীয় সরকার বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ। তিনি বলেন, গত বছর কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুরে সাংবাদিক কলোনি, মতিঝিল, নিকুঞ্জ ১ ও ২ এলাকায় জলাবদ্ধতা বেশি হয়েছিল। এবার এসব এলাকায় যেন জলাবদ্ধতা না হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শাহ মো. ইমদাদুল হক বলেন, সচিবালয়ের জলাবদ্ধতা নিরসনে নতুন পানিনিষ্কাশনের পাইপ বসানোর কাজ শুরু হয়েছে। সচিবালয় এলাকায় পানিনিষ্কাশনের সংযোগ দেওয়া হবে সেগুনবাগিচার বক্স কালভার্টে।

ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, মিরপুর এলাকায় জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ খালকে প্লট বানিয়ে ফেলেছে। খালের জায়গায় বহুতল ভবন বানিয়েছে।

সভায় উপস্থিত চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর বড় সমস্যা জলাবদ্ধতা। জলাবদ্ধতা নিরসনে একটি নতুন খাল খননের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন অধিগ্রহণের জমি বুঝিয়ে না দেওয়ায় এখনো কাজ শুরু করা যায়নি।