সিলেটের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতির বন্ধনে আবদ্ধ: মেয়র আরিফুল

সিলেটের রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমে রামকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো
সিলেটের রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমে রামকৃষ্ণের আবির্ভাব তিথি উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা ও শিক্ষাবৃত্তি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। ছবি: প্রথম আলো

সিলেটের মানুষ ধর্মীয় সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তিনি আরও বলেছেন, সুদূর অতীত থেকেই সিলেট শান্তির নগর হিসেবে দেশ-বিদেশে পরিচিত।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নগরের নাইওরপুল এলাকার রামকৃষ্ণ মিশন ও আশ্রমে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী এসব কথা বলেছেন। তিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের ১৮৫তম আবির্ভাব তিথি ও বার্ষিক উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত চার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী দিনে ‘রামকৃষ্ণ মিশনের সেবাধর্ম’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও শিক্ষাবৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

মেয়র বলেন, শান্তির সিলেটে এ সম্প্রীতি কেউ যাতে নষ্ট করতে না পারে, সে ব্যাপার সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এ নগরকে এগিয়ে নিতে সবাইকে কাজ করতে হবে।

সিলেটের শিক্ষা বিস্তারে রামকৃষ্ণ মিশনের শিক্ষাবৃত্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে উল্লেখ করে মেয়র জানান, এ বৃত্তি কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে এখন থেকে প্রতিবছর সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ রামকৃষ্ণ মিশনকে এক লাখ টাকা অনুদান দেবে। এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের মাদক ও মোবাইল–আসক্তি থেকে দূরে থেকে পড়ালেখায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমের সম্পাদক স্বামী চন্দ্রনাথানন্দজী মহারাজ। সভাপতিত্ব করেন আশ্রমের সভাপতি বিজিত কুমার দে। অরূপ বিজয় চৌধুরীর সঞ্চালনায় আলোচনায় অংশ নেন সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আজিজ আহমদ, প্রকৌশলী সুধাময় দেব, ডা. কল্লোল বিজয় কর, বিকাশ রঞ্জন বিশ্বাস ও স্বামী পরমপদানন্দ। সবশেষে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন সিলেট রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রম পরিচালনা কমিটির সদস্য পান্না লাল রায়।

অনুষ্ঠানে সিলেটের ১০টি উচ্চবিদ্যালয়ের ৪০ জন, এমসি কলেজের ১০ জন ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৭ জনসহ মোট ৬৭ জন শিক্ষার্থীকে তিন হাজার টাকা করে শিক্ষাবৃত্তি দেওয়া হয়।

এর আগে দিনব্যাপী আয়োজনের বিভিন্ন সময়ে মঙ্গলারতি, স্তোত্রপাঠ, গীতা ও চণ্ডীপাঠ, বিশেষ পূজা, হোম, মহোৎসব, আলোকিত কথামৃত পাঠচক্রসহ নানা অনুষ্ঠান হয়।

আজ বুধবার উৎসবের দ্বিতীয় দিনে রামকৃষ্ণ কথামৃত পাঠচক্র, সংগীতাঞ্জলি, পদাবলি কীর্তন, তবলা লহরি ও গীতি আলেখ্যসহ নানা অনুষ্ঠান হবে। চার দিনব্যাপী উৎসব শেষ হবে আগামী শুক্রবার।