টেকসই জীবনযাপনেই নিশ্চিত হবে বাসযোগ্য পৃথিবী

শিক্ষার্থীদের প্রকল্প ঘুরে দেখছেন অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত
শিক্ষার্থীদের প্রকল্প ঘুরে দেখছেন অতিথিরা। ছবি: সংগৃহীত

জলবায়ু পরিবর্তনের রূঢ় বাস্তবতায় টেকসই জীবনযাপন বিশ্বজুড়ে কাঙ্ক্ষিত বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পৃথিবীকে তার মতো থাকতে দেওয়ার জন্য নানা ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এ জন্য প্রয়োজন সচেতনতা। এই সচেতনতা যাপিত জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রেই হতে হবে। ঠিক এমনই একটি উদ্যোগ সম্প্রতি নিয়েছে স্যার জন উইলসন স্কুল। ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করতে সম্প্রতি আয়োজন করে টেকসই জীবনযাপনবিষয়ক সেমিনার ‘সাসটেইনেবল লিভিং’।

পৃথিবীর সম্পদ সংরক্ষণ এবং আগামী প্রজন্মের জন্য সুন্দর ও নিরাপদ জীবনের নিশ্চয়তাই এই সেমিনারের মূল প্রতিপাদ্য। রাজধানীর সাতারকুলে স্কুলের প্রধান ক্যাম্পাসে এটি অনুষ্ঠিত হয়।

অধ্যক্ষ সাব্রিনা শহিদ সূচনা বক্তব্যে বলেন, টেকসই জীবনযাপনের অর্থ কেবল পরিবেশবান্ধব নয় বরং সুন্দর পৃথিবীর সুরক্ষা। এ জন্য ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে এখন থেকেই সচেতন, সহমর্মী ও সক্রিয় হতে হবে। যত ছোট থেকে বিষয়টি শিশুদের জানানো যায়, ততই মঙ্গল। এ জন্যই স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের এতে সম্পৃক্ত করা হয়েছে।

টেকসই জীবনযাপন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা উপস্থাপন। ছবি: সংগৃহীত
টেকসই জীবনযাপন নিয়ে শিক্ষার্থীদের ভাবনা উপস্থাপন। ছবি: সংগৃহীত

প্রথম সেশনে তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির ৩৫০ জন এবং পরের সেশনে ষষ্ঠ, সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির ৩০০ জন মিলিয়ে অংশ নেয় স্কুলের ৬৫০ শিক্ষার্থী।

এই বিষয়ে আলোচনা করেন পাঁচজন চেঞ্জমেকার ব্রত্তকের উদ্ভাবক ও পরিকল্পক মেহনাজ চৌধুরী, বাংলাদেশ পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি লিমিটেডের সহকারী ব্যবস্থাপক সাদিয়া জাফরিন, লিবারেল আর্টস বাংলাদেশের সহযোগী অধ্যাপক ও সেন্টার ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্টের পরিচালক সামিয়া সেলিম, নাফকো গ্রুপ অ্যান্ড কোম্পানির সভাপতি শাম্মি হুদা ও ক্রিয়েটিভ কনজারভেশন অ্যালায়েন্সের (সিসিএ) ফ্যাসিলিটিজ ব্যবস্থাপক ফাহিম জামান। বক্তারা তাঁদের কাজের ক্ষেত্র এবং তার সঙ্গে টেকসই জীবনযাপনের সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন; ছোটরা যাতে এখন থেকেই এ বিষয়ে জানতে পারে।

টেকসই জীবনযাপন নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা উপস্থাপনা ছিল। ছবি: সংগৃহীত
টেকসই জীবনযাপন নিয়ে শিক্ষার্থীদের নানা উপস্থাপনা ছিল। ছবি: সংগৃহীত

টেকসই জীবনযাপন, জলবায়ু পরিবর্তন ইত্যাদি নিয়ে ছোটরা যে ভাবছে না, তা নয়। বরং অনেকাংশে তারা অগ্রজদের চেয়ে অগ্রগামী। সেটাই প্রতীয়মান হয় অষ্টম শ্রেণির সাহার সেলিম এবং পঞ্চম শ্রেণির শ্যামার পরিবেশবান্ধব ভ্রমণ নিয়ে উপস্থাপনায়। এমনকি শেষে সিনিয়র সেকশনের খুদে বিজ্ঞানীরা টেকসই জীবনযাপন নিয়ে তাদের ধারণা হাইপারলুপ, অ্যাডভান্স ঢাকা সিটি, সবুজ প্লাস্টিকের মতো মনোগ্রাহী সব জিনিস তুলে ধরে।

এরই মাঝে প্রদর্শিত হয় বাংলাদেশ সরকারের টেকসই ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ স্রেডার তৈরি জনসচেতনতামূলক এনিমেটেড ভিডিও। ‘অ্যাডভেঞ্চার অব ই-ম্যান’ শিরোনামের এই ভিডিও প্রদর্শনের মাধ্যমে জ্বালানি সাশ্রয়ের প্রয়োজনীয়তা ও উপায় সম্পর্কে ছাত্রছাত্রীদের জানানো হয়।